জলবায়ু সহনশীল সমাজ গঠনে মোরেলগঞ্জে স্থানীয় প্রতিনিধিদের একসাথে কাজের আহ্বান

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি, সামাজিক নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬ নম্বর খাউলিয়া ইউনিয়নে আয়োজিত এ সংলাপে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের সদস্য এবং সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য।

কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) এর উদ্যোগে শনিবার খাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এই সংলাপ আয়োজন করা হয়। কোডেকের এনগেজ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত সভায় সাউথখালী ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়টি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ের সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন কোডেক এনগেজ প্রকল্পের মাঠ সহকারী কর্মকর্তা তানিয়া মাহাবুব।

সংলাপে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, পরিবেশগত ঝুঁকি, বাল্যবিবাহ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ, নিরাপদ পানির সংকট, খাল ভরাটসহ বিভিন্ন স্থানীয় সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, উপকূলীয় এ অঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের মুখোমুখি হচ্ছে, যার ফলে জীবিকা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা মত প্রকাশ করেন যে, পরিবেশগত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে স্থানীয় পর্যায়ে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। বাল্যবিবাহ ও মাদকাসক্তি সমাজের জন্য বড় হুমকি উল্লেখ করে বক্তারা সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনুষ্ঠানে খাউলিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ বিটুল বিশ্বাস এবং ইউপি সদস্য মোঃ নাসির উদ্দিন গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, এককভাবে কোনো সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়; এজন্য জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও সাধারণ জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।

এছাড়াও সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্যসহ নয়টি ওয়ার্ডের নারী ও পুরুষ প্রতিনিধিরা সংলাপে অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বলেন, সমষ্টিগত উদ্যোগ এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। এ ধরনের সংলাপ স্থানীয় জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

জলবায়ু সহনশীল সমাজ গঠনে মোরেলগঞ্জে স্থানীয় প্রতিনিধিদের একসাথে কাজের আহ্বান

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি, সামাজিক নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬ নম্বর খাউলিয়া ইউনিয়নে আয়োজিত এ সংলাপে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের সদস্য এবং সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য।

কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) এর উদ্যোগে শনিবার খাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এই সংলাপ আয়োজন করা হয়। কোডেকের এনগেজ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত সভায় সাউথখালী ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়টি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ের সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন কোডেক এনগেজ প্রকল্পের মাঠ সহকারী কর্মকর্তা তানিয়া মাহাবুব।

সংলাপে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, পরিবেশগত ঝুঁকি, বাল্যবিবাহ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ, নিরাপদ পানির সংকট, খাল ভরাটসহ বিভিন্ন স্থানীয় সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, উপকূলীয় এ অঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের মুখোমুখি হচ্ছে, যার ফলে জীবিকা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা মত প্রকাশ করেন যে, পরিবেশগত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে স্থানীয় পর্যায়ে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। বাল্যবিবাহ ও মাদকাসক্তি সমাজের জন্য বড় হুমকি উল্লেখ করে বক্তারা সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনুষ্ঠানে খাউলিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ বিটুল বিশ্বাস এবং ইউপি সদস্য মোঃ নাসির উদ্দিন গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, এককভাবে কোনো সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়; এজন্য জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও সাধারণ জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।

এছাড়াও সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্যসহ নয়টি ওয়ার্ডের নারী ও পুরুষ প্রতিনিধিরা সংলাপে অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বলেন, সমষ্টিগত উদ্যোগ এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। এ ধরনের সংলাপ স্থানীয় জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।