শোক, শ্রদ্ধা ও স্মরণে মাভাবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

মোঃ জিসান রহমান,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

নানা কর্মসূচি ও ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। জাতির ইতিহাসের এক বেদনাবিধুর অধ্যায় স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

রবিবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) ভোরের প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। একই সঙ্গে কালো পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। কর্মসূচির শুরুতেই পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে নেমে আসে শোকের আবহ।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দের নেতৃত্বে একটি শোক র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত সবার মাঝে এক গভীর আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রক্টর, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালকসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাদের অংশগ্রহণে কর্মসূচিগুলো আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।

এছাড়াও দুপুরে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। দোয়ায় ১৯৭১ সালের এই দিনে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া দেশের খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবীদের অবদান স্মরণ করা হয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণের আহ্বান জানানো হয়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এসব কর্মসূচির মাধ্যমে মাভাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ ইতিহাস সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

শোক, শ্রদ্ধা ও স্মরণে মাভাবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫

মোঃ জিসান রহমান,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

নানা কর্মসূচি ও ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। জাতির ইতিহাসের এক বেদনাবিধুর অধ্যায় স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

রবিবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) ভোরের প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। একই সঙ্গে কালো পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। কর্মসূচির শুরুতেই পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে নেমে আসে শোকের আবহ।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দের নেতৃত্বে একটি শোক র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত সবার মাঝে এক গভীর আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রক্টর, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালকসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাদের অংশগ্রহণে কর্মসূচিগুলো আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।

এছাড়াও দুপুরে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। দোয়ায় ১৯৭১ সালের এই দিনে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া দেশের খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবীদের অবদান স্মরণ করা হয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণের আহ্বান জানানো হয়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এসব কর্মসূচির মাধ্যমে মাভাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ ইতিহাস সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।