সরকারি পুকুরে বহিরাগতদের প্রবেশ: রেশম বোর্ডে নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগে প্রশ্নচিহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
রাজশাহীর রেশম বোর্ডের আওতাধীন সরকারি পুকুরগুলোতে চলতি অনিয়ম ও রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সরকারি সম্পত্তিতে বহিরাগতদের প্রবেশ এবং মাছ ধরার ঘটনায় প্রশাসনিক দায়িত্ব ও নিরাপত্তা শিথিলতার বিষয়টি উজ্জ্বল হচ্ছে।

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পূর্বের সরকার আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কয়েকজনের মধ্যে পুকুর লিজ বিতরণ করা হয়েছিল। এই টেন্ডারপ্রাপ্তরা পার্টনারশিপে পুকুর চাষ শুরু করলেও, ৫ আগস্ট সরকারের পরিবর্তনের পর তারা আত্মগোপনে চলে যান। এরপর পুরো দায়িত্ব পড়ে স্থানীয় জেলে ওবায়দুলের ওপর।

গত ১০ অক্টোবর টিকিট বিক্রির মাধ্যমে প্রায় ৪০–৫০ জন বহিরাগত ওই পুকুরে প্রবেশ করে মাছ ধরেন। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে তারা কোনো বাধা ছাড়াই পুকুরে প্রবেশ করতে পেরেছেন।


রাজনৈতিক প্রভাব ও পুনরায় লিজের চেষ্টা

পুকুরের পূর্ব লিজগ্রহীতারা পুনরায় আবেদন দিচ্ছেন যেন পুকুর তাদের নামেই তিন বছরের জন্য লিজ নবায়ন করা হয়। তাদের দাবি, আগের চাষে লোকসান হয়েছে।
রেশম বোর্ডের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ওবায়দুলকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে— যদি বিএনপি নেতাদের স্বাক্ষর যুক্ত হয়, সুবিধা হতে পারে। এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি কর্মচারীরা কি রাজনৈতিক প্রভাবিতদের পক্ষ থেকে কাজ করছেন?


প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

রেশম বোর্ডের উপপরিচালক তারিকুল ইসলাম:
“বহিরাগতদের প্রবেশ বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাদের সিকিউরিটি গার্ডের অভাব রয়েছে। ইতিমধ্যে থানায় বিষয়টি জানিয়েছি এবং হেড অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের আবেদন পাঠানো হয়েছে।”

বোয়ালিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ:
“কোনো লিখিত অভিযোগ আমাদের থানায় আসেনি। তবে নিরাপত্তা ও অনিয়মের বিষয় হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।”

জনসংযোগ কর্মকর্তা সুমন ঠাকুর:
“নতুন টেন্ডারের প্রস্তুতি চলছে এবং বহিরাগতদের বিষয়ে কর্মকর্তাকে দ্রুত অবগত করা হচ্ছে।”


স্থানীয়দের অভিমত

স্থানীয়রা মনে করছেন, সরকারি সম্পত্তি যদি রাজনৈতিক দখলে চলে যায়, তবে দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা থামানো অসম্ভব। সরকারি অফিসের ভেতরে বহিরাগতদের প্রবেশ এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত লিজ প্রক্রিয়া মিলিয়ে রেশম বোর্ডে চলছে নিয়ম ভাঙা ও স্বার্থের খেলা।

সরকারি পুকুরে বহিরাগতদের প্রবেশ: রেশম বোর্ডে নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগে প্রশ্নচিহ্ন

অক্টোবর ১৫, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
রাজশাহীর রেশম বোর্ডের আওতাধীন সরকারি পুকুরগুলোতে চলতি অনিয়ম ও রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সরকারি সম্পত্তিতে বহিরাগতদের প্রবেশ এবং মাছ ধরার ঘটনায় প্রশাসনিক দায়িত্ব ও নিরাপত্তা শিথিলতার বিষয়টি উজ্জ্বল হচ্ছে।

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পূর্বের সরকার আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কয়েকজনের মধ্যে পুকুর লিজ বিতরণ করা হয়েছিল। এই টেন্ডারপ্রাপ্তরা পার্টনারশিপে পুকুর চাষ শুরু করলেও, ৫ আগস্ট সরকারের পরিবর্তনের পর তারা আত্মগোপনে চলে যান। এরপর পুরো দায়িত্ব পড়ে স্থানীয় জেলে ওবায়দুলের ওপর।

গত ১০ অক্টোবর টিকিট বিক্রির মাধ্যমে প্রায় ৪০–৫০ জন বহিরাগত ওই পুকুরে প্রবেশ করে মাছ ধরেন। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে তারা কোনো বাধা ছাড়াই পুকুরে প্রবেশ করতে পেরেছেন।


রাজনৈতিক প্রভাব ও পুনরায় লিজের চেষ্টা

পুকুরের পূর্ব লিজগ্রহীতারা পুনরায় আবেদন দিচ্ছেন যেন পুকুর তাদের নামেই তিন বছরের জন্য লিজ নবায়ন করা হয়। তাদের দাবি, আগের চাষে লোকসান হয়েছে।
রেশম বোর্ডের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ওবায়দুলকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে— যদি বিএনপি নেতাদের স্বাক্ষর যুক্ত হয়, সুবিধা হতে পারে। এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি কর্মচারীরা কি রাজনৈতিক প্রভাবিতদের পক্ষ থেকে কাজ করছেন?


প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

রেশম বোর্ডের উপপরিচালক তারিকুল ইসলাম:
“বহিরাগতদের প্রবেশ বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাদের সিকিউরিটি গার্ডের অভাব রয়েছে। ইতিমধ্যে থানায় বিষয়টি জানিয়েছি এবং হেড অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের আবেদন পাঠানো হয়েছে।”

বোয়ালিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ:
“কোনো লিখিত অভিযোগ আমাদের থানায় আসেনি। তবে নিরাপত্তা ও অনিয়মের বিষয় হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।”

জনসংযোগ কর্মকর্তা সুমন ঠাকুর:
“নতুন টেন্ডারের প্রস্তুতি চলছে এবং বহিরাগতদের বিষয়ে কর্মকর্তাকে দ্রুত অবগত করা হচ্ছে।”


স্থানীয়দের অভিমত

স্থানীয়রা মনে করছেন, সরকারি সম্পত্তি যদি রাজনৈতিক দখলে চলে যায়, তবে দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা থামানো অসম্ভব। সরকারি অফিসের ভেতরে বহিরাগতদের প্রবেশ এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত লিজ প্রক্রিয়া মিলিয়ে রেশম বোর্ডে চলছে নিয়ম ভাঙা ও স্বার্থের খেলা।