মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী:
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সর্বশেষ রাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। তবে এবারের নির্বাচনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
১১টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী
এবারের নির্বাচনে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে মোট ১১টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
রাকসুর মোট ২৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে ১৬ জন লড়ছেন। সিনেট প্রতিনিধি পদে রয়েছেন ৫৮ জন, আর ১৭টি হলে হল সংসদের জন্য ৫৯৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোট ভোটার সংখ্যা ২৮,৯০১ জন, যার মধ্যে নারী ১১,৩০৫ এবং পুরুষ ১৭,৫৯৬ জন।
ভিপি–জিএস–এজিএস পদে মূল লড়াই
সহ সভাপতি (ভিপি): ছাত্রশিবির সমর্থিত মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বনাম ছাত্রদল সমর্থিত শেখ নূর উদ্দীন আবীর। এছাড়া ফুয়াদ রাতুল (বাম) ও মেহেদী মারুফ (ছাত্র অধিকার) আলোচনায়।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস): ফাহিম রেজা (শিবির), নাফিউল ইসলাম জীবন (ছাত্রদল), সালাউদ্দীন আম্মার (প্রগতিশীল)।
এজিএস পদ: জাহীন বিশ্বাস এষা (ছাত্রদল) বনাম সালমান সাব্বির (শিবির)।
শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস
ক্যাম্পাসে ভোটের আগেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে গেছে। পোস্টার, লিফলেট ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত।
নাসিমুল মুহিত ইফাত (সমাজবিজ্ঞান): “দীর্ঘ ৩৫ বছর পর নির্বাচনের আয়োজন আনন্দের। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ভালো প্রচারণা চালাচ্ছেন।”
ফারিহা ইসলাম মিম (ছাত্রী): “এটা ভোট নয়, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের প্রতীক।”
সিয়াম (রাষ্ট্রবিজ্ঞান): “ছাত্রদলের প্রচারণা চোখে পড়ার মতো।”
মেহজাবিন সুলতানা: “শিবির সমর্থিত জোট মেয়েদের হলেও সরব।”
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ভোট জালিয়াতি প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশন ‘থ্রি ডাইমেনশনাল সিকিউরিটি’ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভোটারদের আইডি যাচাই, ছবি মিলিয়ে দেখা ও কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।
ভোটের দিনে নিরাপত্তায় থাকছে দুই হাজার পুলিশ, ছয় প্লাটুন বিজিবি ও বারো প্লাটুন র্যাব। পুরো ক্যাম্পাসে থাকবে সিসিটিভি নজরদারি।
৩৫ বছরের প্রতীক্ষার অবসান
১৯৯০ সালের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে রাকসু নির্বাচন বন্ধ ছিল। ২০২৫ সালে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাস্তবতায় পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, এই নির্বাচন কেবল প্রতিনিধি নির্বাচন নয়, বরং ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র ও অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতির নবজাগরণ ঘটাবে।
ভোটগ্রহণ শেষে রাতেই কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন থেকে ফলাফল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাকসু নির্বাচন: শিক্ষার্থীদের উৎসব ও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী:
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সর্বশেষ রাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। তবে এবারের নির্বাচনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
১১টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী
এবারের নির্বাচনে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে মোট ১১টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
রাকসুর মোট ২৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে ১৬ জন লড়ছেন। সিনেট প্রতিনিধি পদে রয়েছেন ৫৮ জন, আর ১৭টি হলে হল সংসদের জন্য ৫৯৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোট ভোটার সংখ্যা ২৮,৯০১ জন, যার মধ্যে নারী ১১,৩০৫ এবং পুরুষ ১৭,৫৯৬ জন।
ভিপি–জিএস–এজিএস পদে মূল লড়াই
সহ সভাপতি (ভিপি): ছাত্রশিবির সমর্থিত মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বনাম ছাত্রদল সমর্থিত শেখ নূর উদ্দীন আবীর। এছাড়া ফুয়াদ রাতুল (বাম) ও মেহেদী মারুফ (ছাত্র অধিকার) আলোচনায়।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস): ফাহিম রেজা (শিবির), নাফিউল ইসলাম জীবন (ছাত্রদল), সালাউদ্দীন আম্মার (প্রগতিশীল)।
এজিএস পদ: জাহীন বিশ্বাস এষা (ছাত্রদল) বনাম সালমান সাব্বির (শিবির)।
শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস
ক্যাম্পাসে ভোটের আগেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে গেছে। পোস্টার, লিফলেট ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত।
নাসিমুল মুহিত ইফাত (সমাজবিজ্ঞান): “দীর্ঘ ৩৫ বছর পর নির্বাচনের আয়োজন আনন্দের। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ভালো প্রচারণা চালাচ্ছেন।”
ফারিহা ইসলাম মিম (ছাত্রী): “এটা ভোট নয়, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের প্রতীক।”
সিয়াম (রাষ্ট্রবিজ্ঞান): “ছাত্রদলের প্রচারণা চোখে পড়ার মতো।”
মেহজাবিন সুলতানা: “শিবির সমর্থিত জোট মেয়েদের হলেও সরব।”
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ভোট জালিয়াতি প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশন ‘থ্রি ডাইমেনশনাল সিকিউরিটি’ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভোটারদের আইডি যাচাই, ছবি মিলিয়ে দেখা ও কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।
ভোটের দিনে নিরাপত্তায় থাকছে দুই হাজার পুলিশ, ছয় প্লাটুন বিজিবি ও বারো প্লাটুন র্যাব। পুরো ক্যাম্পাসে থাকবে সিসিটিভি নজরদারি।
৩৫ বছরের প্রতীক্ষার অবসান
১৯৯০ সালের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে রাকসু নির্বাচন বন্ধ ছিল। ২০২৫ সালে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাস্তবতায় পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, এই নির্বাচন কেবল প্রতিনিধি নির্বাচন নয়, বরং ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র ও অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতির নবজাগরণ ঘটাবে।
ভোটগ্রহণ শেষে রাতেই কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন থেকে ফলাফল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।