মোরেলগঞ্জে নতুন বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফাশিয়াতলা গ্রামে নব-নির্মিত বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের জীবনে বারবার আঘাত করে, কিন্তু হতাশ হওয়ার নয়; বরং নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। দুর্যোগকে ভয় নয়, জয় করে আমরা সামনে এগিয়ে যাব।”

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “সরকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জনগণের সুরক্ষার জন্য এই আশ্রয়কেন্দ্র হবে নিরাপদ দুর্গ। পাশাপাশি এটি শিক্ষা, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমেও ব্যবহারযোগ্য হবে। জনগণের সম্পৃক্ততা থাকলে যেকোনো সংকট আমরা সহজেই মোকাবিলা করতে পারব।”

প্রধান অতিথি আরও উল্লেখ করেন, “উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সাহসী। তারা প্রতিকূলতাকে ভয় পায় না। সরকার ও জনগণ একত্রে কাজ করলে দুর্যোগ কোনো বাধা নয়, বরং নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত, সচেতন ও সংগঠিত থাকতে হবে।”

জার্মান সরকারের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জমিদাতা মো. সেলিম মিয়া সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ।

বিশেষ অতিথি মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, “বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে কাজ করছে। আশ্রয়কেন্দ্র শুধু দুর্যোগের সময় আশ্রয় নয়, এটি হবে স্থানীয় জনগণের মিলনমেলা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র। আমরা চাই এই কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহার নিয়ে সবাই একসাথে কাজ করুক।”

তিনি আরও যোগ করেন, “প্রকৃতির প্রতিকূলতা ঠেকানো সম্ভব নয়, তবে সচেতনতা, প্রস্তুতি ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়। প্রশাসন সব সময় জনগণের পাশে থাকবে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা মন্তব্য করেন, এ ধরনের বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র কেবল দুর্যোগকালীন নিরাপত্তা প্রদান করবে না, বরং শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও মানবসম্পদ বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মোরেলগঞ্জে নতুন বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন

অক্টোবর ২৭, ২০২৫

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফাশিয়াতলা গ্রামে নব-নির্মিত বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের জীবনে বারবার আঘাত করে, কিন্তু হতাশ হওয়ার নয়; বরং নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। দুর্যোগকে ভয় নয়, জয় করে আমরা সামনে এগিয়ে যাব।”

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “সরকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জনগণের সুরক্ষার জন্য এই আশ্রয়কেন্দ্র হবে নিরাপদ দুর্গ। পাশাপাশি এটি শিক্ষা, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমেও ব্যবহারযোগ্য হবে। জনগণের সম্পৃক্ততা থাকলে যেকোনো সংকট আমরা সহজেই মোকাবিলা করতে পারব।”

প্রধান অতিথি আরও উল্লেখ করেন, “উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সাহসী। তারা প্রতিকূলতাকে ভয় পায় না। সরকার ও জনগণ একত্রে কাজ করলে দুর্যোগ কোনো বাধা নয়, বরং নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত, সচেতন ও সংগঠিত থাকতে হবে।”

জার্মান সরকারের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জমিদাতা মো. সেলিম মিয়া সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ।

বিশেষ অতিথি মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, “বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে কাজ করছে। আশ্রয়কেন্দ্র শুধু দুর্যোগের সময় আশ্রয় নয়, এটি হবে স্থানীয় জনগণের মিলনমেলা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র। আমরা চাই এই কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহার নিয়ে সবাই একসাথে কাজ করুক।”

তিনি আরও যোগ করেন, “প্রকৃতির প্রতিকূলতা ঠেকানো সম্ভব নয়, তবে সচেতনতা, প্রস্তুতি ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়। প্রশাসন সব সময় জনগণের পাশে থাকবে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা মন্তব্য করেন, এ ধরনের বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র কেবল দুর্যোগকালীন নিরাপত্তা প্রদান করবে না, বরং শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও মানবসম্পদ বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।