নেত্রকোনায় একই সনদে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি, শিক্ষিকা কামরুন্নাহারকে ঘিরে তদন্তে নতুন তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একই এনটিআরসিএ নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা মোছা. কামরুন্নাহার দীর্ঘদিন দুর্গাপুর দ্বীনি আলিম মাদ্রাসায় আইসিটি সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সময়ে তিনি আলহাজ্ব মাফিজ উদ্দিন তালুকদার কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়ে পরে অধ্যক্ষের দায়িত্বও নেন।

শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে মাদ্রাসায় চাকরি শুরু করে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি এমপিও সুবিধা পান। কিন্তু ২০১৫ সালে একই নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ তালুকদারের রাজনৈতিক প্রভাবেই তার স্ত্রী কামরুন্নাহারকে অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও অধ্যক্ষ পদে বসানো হয়।

সরকারি বিধিমালা অনুসারে অধ্যক্ষ হতে হলে কমপক্ষে ১২ বছরের প্রভাষক অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, এই যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ২০২০ সালে তাকে অধ্যক্ষ করা হয়। আরও অভিযোগ রয়েছে, ২০১৫ সালের অধ্যক্ষ নিয়োগ বাছাই পরীক্ষার ফলাফল পরবর্তী সময়ে পরিবর্তন করে নতুন ফলাফল শিট তৈরি করা হয়, যেখানে কামরুন্নাহারের নাম প্রথম স্থানে দেখানো হয়।ময়মনসিংহ মর্গে মৃত তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ডোম গ্রেফতার

দুর্গাপুর দ্বীনি আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান জানান, কামরুন্নাহার ২০২২ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসায় নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন এবং হাজিরা বইয়ে তার স্বাক্ষর রয়েছে। একই সময়ে কলেজে দায়িত্ব পালন কীভাবে সম্ভব হলো, তা নিয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।

জেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর কবীর আহাম্মদ বলেন, একই সময়ে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা বিধিবহির্ভূত। বিষয়টি ময়মনসিংহ অঞ্চলের মাউশির কাছে পাঠানো হবে। মাউশির আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম আলিফ উল্লাহ আহসান জানান, তদন্তে অনিয়ম প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগ বিষয়ে কামরুন্নাহারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানা যায়।

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। নেত্রকোনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু তাহের খানের নেতৃত্বে কমিটি দুই দফা তদন্তে একাধিক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন খুব শিগগিরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।নারায়ণগঞ্জে ২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সমকামীর অভিযোগ, সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিক লাঞ্চিত

নেত্রকোনায় একই সনদে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি, শিক্ষিকা কামরুন্নাহারকে ঘিরে তদন্তে নতুন তথ্য

নভেম্বর ১১, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একই এনটিআরসিএ নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা মোছা. কামরুন্নাহার দীর্ঘদিন দুর্গাপুর দ্বীনি আলিম মাদ্রাসায় আইসিটি সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সময়ে তিনি আলহাজ্ব মাফিজ উদ্দিন তালুকদার কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়ে পরে অধ্যক্ষের দায়িত্বও নেন।

শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে মাদ্রাসায় চাকরি শুরু করে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি এমপিও সুবিধা পান। কিন্তু ২০১৫ সালে একই নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ তালুকদারের রাজনৈতিক প্রভাবেই তার স্ত্রী কামরুন্নাহারকে অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও অধ্যক্ষ পদে বসানো হয়।

সরকারি বিধিমালা অনুসারে অধ্যক্ষ হতে হলে কমপক্ষে ১২ বছরের প্রভাষক অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, এই যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ২০২০ সালে তাকে অধ্যক্ষ করা হয়। আরও অভিযোগ রয়েছে, ২০১৫ সালের অধ্যক্ষ নিয়োগ বাছাই পরীক্ষার ফলাফল পরবর্তী সময়ে পরিবর্তন করে নতুন ফলাফল শিট তৈরি করা হয়, যেখানে কামরুন্নাহারের নাম প্রথম স্থানে দেখানো হয়।ময়মনসিংহ মর্গে মৃত তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ডোম গ্রেফতার

দুর্গাপুর দ্বীনি আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান জানান, কামরুন্নাহার ২০২২ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসায় নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন এবং হাজিরা বইয়ে তার স্বাক্ষর রয়েছে। একই সময়ে কলেজে দায়িত্ব পালন কীভাবে সম্ভব হলো, তা নিয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।

জেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর কবীর আহাম্মদ বলেন, একই সময়ে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা বিধিবহির্ভূত। বিষয়টি ময়মনসিংহ অঞ্চলের মাউশির কাছে পাঠানো হবে। মাউশির আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম আলিফ উল্লাহ আহসান জানান, তদন্তে অনিয়ম প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগ বিষয়ে কামরুন্নাহারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানা যায়।

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। নেত্রকোনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু তাহের খানের নেতৃত্বে কমিটি দুই দফা তদন্তে একাধিক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন খুব শিগগিরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।নারায়ণগঞ্জে ২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সমকামীর অভিযোগ, সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিক লাঞ্চিত