🖊️ মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী:
রাজশাহী নগরীর খুলিপাড়া এলাকায় প্রশাসনের একাধিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারও পুকুর ভরাট শুরু হওয়ায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপির হাইব্রিড নেতা হিসেবে পরিচিত এস এম এখলাস আহেমদ রমি ধাপে ধাপে পুকুর ভরাট করে চলেছেন।
প্রথমদিকে এলাকাবাসীর বাধায় কাজ বন্ধ হলেও পরে আবারও নতুন কৌশলে ভরাট শুরু হয়। দুর্গা পূজার বিজয়া দশমীর সময় প্রশাসন ব্যস্ত থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাতের বেলা মাটি ফেলা হয়। এতে ধীরে ধীরে জলাধারটি সংকুচিত হয়ে পড়ছে।
এর আগে স্থানীয় সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ (ইয়্যাস)-এর সহযোগিতায় মানববন্ধনের পর প্রশাসন ভরাট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযুক্তদের সতর্কও করেছিলেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারও কাজ শুরু করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রমি শুধু পুকুর ভরাট নয়—টিকাপাড়া গোরস্থানের সামনে মাদক আসর বসানো, অবৈধ বালু উত্তোলনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। পদ্মা নদী থেকে বালু তোলার কারণে নদীভাঙন ও পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে বলে তারা জানান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে নগরীতে জলাশয় ভরাট, অন্যদিকে অবৈধ বালু উত্তোলন—উভয় কর্মকাণ্ডের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস, জলাবদ্ধতা, কৃষিজমিতে পানির সংকট, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস ও নগর পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দেবে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রমি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বাসার সামনে কোনো ডেভেলপার কাজ করছে, বিস্তারিত পরে জানাব।”
অন্যদিকে বোয়ালিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, পূজা ডুবানোর নিরাপত্তার কারণে পুলিশ সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ভরাট বন্ধে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসী ও ইয়্যাস অবিলম্বে পুকুর ভরাট বন্ধ এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তারা সতর্ক করে বলেন, এভাবে জলাশয় দখল চলতে থাকলে রাজশাহীর পরিবেশ ও জনজীবনে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসবে।
রাজশাহীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারও পুকুর ভরাট, এলাকাবাসীর উদ্বেগ চরমে
🖊️ মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী:
রাজশাহী নগরীর খুলিপাড়া এলাকায় প্রশাসনের একাধিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারও পুকুর ভরাট শুরু হওয়ায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপির হাইব্রিড নেতা হিসেবে পরিচিত এস এম এখলাস আহেমদ রমি ধাপে ধাপে পুকুর ভরাট করে চলেছেন।
প্রথমদিকে এলাকাবাসীর বাধায় কাজ বন্ধ হলেও পরে আবারও নতুন কৌশলে ভরাট শুরু হয়। দুর্গা পূজার বিজয়া দশমীর সময় প্রশাসন ব্যস্ত থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাতের বেলা মাটি ফেলা হয়। এতে ধীরে ধীরে জলাধারটি সংকুচিত হয়ে পড়ছে।
এর আগে স্থানীয় সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ (ইয়্যাস)-এর সহযোগিতায় মানববন্ধনের পর প্রশাসন ভরাট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযুক্তদের সতর্কও করেছিলেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারও কাজ শুরু করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রমি শুধু পুকুর ভরাট নয়—টিকাপাড়া গোরস্থানের সামনে মাদক আসর বসানো, অবৈধ বালু উত্তোলনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। পদ্মা নদী থেকে বালু তোলার কারণে নদীভাঙন ও পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে বলে তারা জানান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে নগরীতে জলাশয় ভরাট, অন্যদিকে অবৈধ বালু উত্তোলন—উভয় কর্মকাণ্ডের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস, জলাবদ্ধতা, কৃষিজমিতে পানির সংকট, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস ও নগর পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দেবে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রমি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বাসার সামনে কোনো ডেভেলপার কাজ করছে, বিস্তারিত পরে জানাব।”
অন্যদিকে বোয়ালিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, পূজা ডুবানোর নিরাপত্তার কারণে পুলিশ সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ভরাট বন্ধে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসী ও ইয়্যাস অবিলম্বে পুকুর ভরাট বন্ধ এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তারা সতর্ক করে বলেন, এভাবে জলাশয় দখল চলতে থাকলে রাজশাহীর পরিবেশ ও জনজীবনে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসবে।