মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহীঃ
রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকারের মালিকানাধীন হিমাগারে এক তরুণ, নারী ও কিশোরীর ওপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, চেয়ারম্যানের দুই মেয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীর শরীরে সেফটি পিন ফুটিয়ে নির্যাতন চালিয়েছে এবং চড়-থাপ্পড় মেরেছে।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সকালে, রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া এলাকার সরকার কোল্ড স্টোরেজের অফিসকক্ষে।
এ সময় স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে অফিসে ভাঙচুর চালান এবং অভিযুক্তদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশ তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
আহত তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হলেন—
এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী (২৭),
তার খালাতো বোন (৩০),
এবং এক কিশোরী (১৩)।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তাদেরকে অফিসে ডেকে লাঠি, বাঁশ, হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয় এবং সেফটি পিন দিয়ে শরীরে ফুটিয়ে দেওয়া হয়।
চিকিৎসাধীন নারী বলেন,
“মোহাম্মদ আলী সরকারের সঙ্গে আমাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তার ছেলে-মেয়েরা বিষয়টি ভালোভাবে নিতেন না। তারা সন্দেহ করতেন, আমার সঙ্গে চেয়ারম্যানের অনৈতিক সম্পর্ক আছে। সেই সন্দেহ থেকেই তারা আমাদের ডেকে এনে নির্যাতন চালায়।”
ঘটনার পর দেখা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন, তার কান দিয়ে রক্ত পড়ছিল।
আহত মেডিকেল শিক্ষার্থীর দুই হাতে জখম ও পিঠে আঘাতের দাগ ছিল।
কিশোরী অভিযোগ করে,
“চেয়ারম্যানের দুই মেয়ে আমার শরীরে বারবার সেফটি পিন ফুটিয়েছে।”
স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১টা থেকে জনতা অভিযুক্ত আহসান উদ্দিন সরকার জিকো (৪৫), আখি (৩৫) ও হাবিবাকে (৪০) অবরুদ্ধ করে রাখেন। জনতার দাবি ছিল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার।
পুলিশ আশঙ্কা করছিল, বাইরে আনা হলে গণপিটুনি হতে পারে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে জনতা সিসি ক্যামেরা ও জানালা ভাঙচুর করেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন,
“তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।”
রাজশাহীর হিমাগারে তরুণ-নারী-কিশোরীর ওপর অমানবিক নির্যাতন
মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহীঃ
রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকারের মালিকানাধীন হিমাগারে এক তরুণ, নারী ও কিশোরীর ওপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, চেয়ারম্যানের দুই মেয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীর শরীরে সেফটি পিন ফুটিয়ে নির্যাতন চালিয়েছে এবং চড়-থাপ্পড় মেরেছে।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সকালে, রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া এলাকার সরকার কোল্ড স্টোরেজের অফিসকক্ষে।
এ সময় স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে অফিসে ভাঙচুর চালান এবং অভিযুক্তদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশ তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
আহত তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হলেন—
এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী (২৭),
তার খালাতো বোন (৩০),
এবং এক কিশোরী (১৩)।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তাদেরকে অফিসে ডেকে লাঠি, বাঁশ, হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয় এবং সেফটি পিন দিয়ে শরীরে ফুটিয়ে দেওয়া হয়।
চিকিৎসাধীন নারী বলেন,
“মোহাম্মদ আলী সরকারের সঙ্গে আমাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তার ছেলে-মেয়েরা বিষয়টি ভালোভাবে নিতেন না। তারা সন্দেহ করতেন, আমার সঙ্গে চেয়ারম্যানের অনৈতিক সম্পর্ক আছে। সেই সন্দেহ থেকেই তারা আমাদের ডেকে এনে নির্যাতন চালায়।”
ঘটনার পর দেখা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন, তার কান দিয়ে রক্ত পড়ছিল।
আহত মেডিকেল শিক্ষার্থীর দুই হাতে জখম ও পিঠে আঘাতের দাগ ছিল।
কিশোরী অভিযোগ করে,
“চেয়ারম্যানের দুই মেয়ে আমার শরীরে বারবার সেফটি পিন ফুটিয়েছে।”
স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১টা থেকে জনতা অভিযুক্ত আহসান উদ্দিন সরকার জিকো (৪৫), আখি (৩৫) ও হাবিবাকে (৪০) অবরুদ্ধ করে রাখেন। জনতার দাবি ছিল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার।
পুলিশ আশঙ্কা করছিল, বাইরে আনা হলে গণপিটুনি হতে পারে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে জনতা সিসি ক্যামেরা ও জানালা ভাঙচুর করেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন,
“তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।”