ওমর ফারুক, পাবনা জেলা প্রতিনিধি:
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে পাবনায় চলছে কঠোর অভিযান। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে পদ্মা নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ছয় জেলেকে আটক করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে পাবনা সদর উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস. এম. ফুয়াদ। অভিযানে জেলা পুলিশের সহযোগিতায় মা ইলিশ ধরার অপরাধে আটক ছয় জেলেকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এ সময় প্রায় ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল, যার বাজারমূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা, জব্দ করে তা现场ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এছাড়া উদ্ধারকৃত ৫ কেজি ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম, ফার্ম ম্যানেজার ড. মনা আশীষ চৌধুরি এবং জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম. ফুয়াদ বলেন,
“ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যারা এ নিয়ম অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল জানান,
“অক্টোবর মাসজুড়ে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চলমান থাকবে। জেলেদের সচেতন করতে টহল, প্রচারণা ও আইন প্রয়োগ—সব কার্যক্রম একসঙ্গে চলছে।”
তিনি আরও বলেন,
“প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা করা গেলে ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।”
এদিকে অভিযানের খবর পেয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় জেলেদের মধ্যে সতর্কতা দেখা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন সকল জেলেকে নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যে ইলিশ না ধরার আহ্বান জানিয়েছে।
নদীতে মোবাইল কোর্টের অভিযানে পাবনায় ৬ জেলে আটক, কারেন্ট জাল ধ্বংস
ওমর ফারুক, পাবনা জেলা প্রতিনিধি:
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে পাবনায় চলছে কঠোর অভিযান। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে পদ্মা নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ছয় জেলেকে আটক করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে পাবনা সদর উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস. এম. ফুয়াদ। অভিযানে জেলা পুলিশের সহযোগিতায় মা ইলিশ ধরার অপরাধে আটক ছয় জেলেকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এ সময় প্রায় ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল, যার বাজারমূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা, জব্দ করে তা现场ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এছাড়া উদ্ধারকৃত ৫ কেজি ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম, ফার্ম ম্যানেজার ড. মনা আশীষ চৌধুরি এবং জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম. ফুয়াদ বলেন,
“ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যারা এ নিয়ম অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল জানান,
“অক্টোবর মাসজুড়ে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চলমান থাকবে। জেলেদের সচেতন করতে টহল, প্রচারণা ও আইন প্রয়োগ—সব কার্যক্রম একসঙ্গে চলছে।”
তিনি আরও বলেন,
“প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা করা গেলে ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।”
এদিকে অভিযানের খবর পেয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় জেলেদের মধ্যে সতর্কতা দেখা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন সকল জেলেকে নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যে ইলিশ না ধরার আহ্বান জানিয়েছে।