সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গঃ
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে বেআইনি দেহ ব্যবসার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিকের উপর নিশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার, ১৫ অক্টোবর, স্থানীয় সাংবাদিক লাল্টু দাসকে রক্তাক্ত অবস্থায় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, রঘুনাথগঞ্জ থানার তুলসী বাড়ি গঙ্গাঘাট সংলগ্ন এলাকায় হামলার শিকার লাল্টু দাস দীর্ঘদিন ধরে সূত্র মারফত খবর পাচ্ছিলেন, যে কৃষ্ণ মন্ডল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অবৈধভাবে দেহ ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। স্থানীয়রা বিষয়টি অব্যাহত সমস্যার কারণে সাংবাদিককে জানান।
লাল্টু দাস জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতিরা তাকে ঘিরে ধরে কেন এসেছে তা জানতে চায় এবং ভারী বস্তু দিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায়। এতে তার নাক ও মুখে গুরুতর চোট লাগে। হামলার পর তিনি তৎক্ষণাৎ জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি হন।
তিনি আরও জানান, এই বিষয়টি আগেই রঘুনাথগঞ্জ থানাকে জানানো হয়েছিল। হামলার পর পুলিশ তার অবস্থা দেখে হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেয় এবং ঘটনার খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় লাল্টু দাস বলেন, “একজন সাংবাদিক হিসেবে আমার কর্তব্য পালন করেছি। আমি চাই প্রশাসন এই হামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক এবং ওই এলাকায় যে অবৈধ কার্যকলাপ চলছে তা বন্ধ হোক।”
ঘটনাটি রঘুনাথগঞ্জের সাংবাদিক ও নাগরিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলছেন, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর এই ধরনের হামলা বাক স্বাধীনতার প্রতি আক্রমণ। প্রশাসনের পদক্ষেপ এবং দোষীদের দ্রুত শনাক্ত ও শাস্তি দেওয়া এখন সময়ের দাবি।
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলা, চিকিৎসা চলছে
সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গঃ
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে বেআইনি দেহ ব্যবসার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিকের উপর নিশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার, ১৫ অক্টোবর, স্থানীয় সাংবাদিক লাল্টু দাসকে রক্তাক্ত অবস্থায় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, রঘুনাথগঞ্জ থানার তুলসী বাড়ি গঙ্গাঘাট সংলগ্ন এলাকায় হামলার শিকার লাল্টু দাস দীর্ঘদিন ধরে সূত্র মারফত খবর পাচ্ছিলেন, যে কৃষ্ণ মন্ডল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অবৈধভাবে দেহ ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। স্থানীয়রা বিষয়টি অব্যাহত সমস্যার কারণে সাংবাদিককে জানান।
লাল্টু দাস জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতিরা তাকে ঘিরে ধরে কেন এসেছে তা জানতে চায় এবং ভারী বস্তু দিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায়। এতে তার নাক ও মুখে গুরুতর চোট লাগে। হামলার পর তিনি তৎক্ষণাৎ জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি হন।
তিনি আরও জানান, এই বিষয়টি আগেই রঘুনাথগঞ্জ থানাকে জানানো হয়েছিল। হামলার পর পুলিশ তার অবস্থা দেখে হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেয় এবং ঘটনার খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় লাল্টু দাস বলেন, “একজন সাংবাদিক হিসেবে আমার কর্তব্য পালন করেছি। আমি চাই প্রশাসন এই হামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক এবং ওই এলাকায় যে অবৈধ কার্যকলাপ চলছে তা বন্ধ হোক।”
ঘটনাটি রঘুনাথগঞ্জের সাংবাদিক ও নাগরিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলছেন, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর এই ধরনের হামলা বাক স্বাধীনতার প্রতি আক্রমণ। প্রশাসনের পদক্ষেপ এবং দোষীদের দ্রুত শনাক্ত ও শাস্তি দেওয়া এখন সময়ের দাবি।