নিজস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে এক রহস্যজনক ‘ভুতুড়ে মামলা’র অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর বরিশাল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালী কারাগার কর্তৃপক্ষ তাকে বরিশালে স্থানান্তর করে।
এর আগে গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সেনবাগ থানা পুলিশ সোনাইমুড়ী শহরের ভাড়াবাসা থেকে সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে আটক করে। তিনি দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রতিনিধি এবং উপজেলার নদনা ইউনিয়নের কালুয়াই গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে।
গ্রেপ্তারের কারণ জানতে চাইলে সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী বলেন,
“২০১৯ সালের একটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে।”
তবে ওই পরোয়ানায় সাংবাদিক জসিম উদ্দিনের পিতার নাম ‘অজ্ঞাত’ দেখানো হয়েছে এবং ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সেনবাগ উপজেলার ছাতারফাইয়া ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রাম, যা আসলে তার শ্বশুরবাড়ি।
গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিকের স্ত্রী ছালেহা বেগম অভিযোগ করে বলেন,
“আমার স্বামী কখনো বরিশাল যাননি বা সেখানে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে আসছেন। প্রভাবশালী একটি মহল পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানোর জন্য বরিশালে ভুতুড়ে মামলা দিয়েছে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে জসিম উদ্দিনকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাকিল আহমেদ জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করেন এবং ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সাংবাদিক মহল মনে করছে, এটি একটি পরিকল্পিত হয়রানির ঘটনা, যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। এখন সকলের নজর রয়েছে আগামীকালকের জামিন শুনানির দিকে।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন,
“সেনবাগ থানা পুলিশ সোনাইমুড়ীতে অভিযান পরিচালনার আগে আমাদের কোনো লিখিত অনুমতি নেয়নি, এমনকি স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতাও চায়নি।”
ভুতুড়ে মামলায় সাংবাদিক গ্রেপ্তার: নোয়াখালী থেকে বরিশাল কারাগারে পাঠানো জসিম উদ্দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে এক রহস্যজনক ‘ভুতুড়ে মামলা’র অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর বরিশাল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালী কারাগার কর্তৃপক্ষ তাকে বরিশালে স্থানান্তর করে।
এর আগে গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সেনবাগ থানা পুলিশ সোনাইমুড়ী শহরের ভাড়াবাসা থেকে সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে আটক করে। তিনি দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রতিনিধি এবং উপজেলার নদনা ইউনিয়নের কালুয়াই গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে।
গ্রেপ্তারের কারণ জানতে চাইলে সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী বলেন,
“২০১৯ সালের একটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে।”
তবে ওই পরোয়ানায় সাংবাদিক জসিম উদ্দিনের পিতার নাম ‘অজ্ঞাত’ দেখানো হয়েছে এবং ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সেনবাগ উপজেলার ছাতারফাইয়া ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রাম, যা আসলে তার শ্বশুরবাড়ি।
গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিকের স্ত্রী ছালেহা বেগম অভিযোগ করে বলেন,
“আমার স্বামী কখনো বরিশাল যাননি বা সেখানে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে আসছেন। প্রভাবশালী একটি মহল পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানোর জন্য বরিশালে ভুতুড়ে মামলা দিয়েছে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে জসিম উদ্দিনকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাকিল আহমেদ জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করেন এবং ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সাংবাদিক মহল মনে করছে, এটি একটি পরিকল্পিত হয়রানির ঘটনা, যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। এখন সকলের নজর রয়েছে আগামীকালকের জামিন শুনানির দিকে।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন,
“সেনবাগ থানা পুলিশ সোনাইমুড়ীতে অভিযান পরিচালনার আগে আমাদের কোনো লিখিত অনুমতি নেয়নি, এমনকি স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতাও চায়নি।”