বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটে এক গৃহবধূর ওপর নির্যাতন, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বসতবাড়ি ফেরৎ দেওয়ার দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার ষাটগুম্বজ ইউনিয়নের সদুল্লাপুর এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মানুষ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সংবাদকর্মীরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গৃহবধূ রোজিনা বেগম জানান, তিনি ২৫ বছর আগে সদুল্লাপুর এলাকার হুমাউন কবিরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের কিছুদিন পর তিনি জানতে পারেন, তার স্বামী তার এক ফুফাতো বোনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর স্বামী তার ফুফাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যায়।
রোজিনা বেগম বলেন, “সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি স্বামীর শাশুড়ি-শ্বশুরদের সঙ্গে বসবাস করতে থাকি। শ্বশুর-শাশুড়ী আমাদের কোনো সহায়তা দেয়নি। শ্বশুরের পুরাতন মুদি দোকান থেকে সামান্য উপার্জন করে জীবনধারণ করতে হয়েছে। পরে স্বামীর চাচা ও ফুফু পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করতে চাইলে আমার ও সন্তানদের নিরাপত্তার জন্য নিজ অর্থে কওলা দলিলের মাধ্যমে জমি কিনে নিয়েছি। স্বামী সেই জমি আমাকে থেকে অন্যায়ভাবে নিতে চেয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বামী নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের মারধর করেছে। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এরপর বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি এবং একতরফাভাবে তালাক পাঠিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে সে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে আমার বাড়িতে বসিয়ে রেখেছে।”
রোজিনা বেগম অভিযোগ করেন, দ্বিতীয় স্ত্রী মুনিয়া আক্তার ময়ুরী সম্প্রতি মুরুব্বিদের উপর দা দিয়ে হামলার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে এবং এ ধরনের হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি মানববন্ধনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন এবং কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায্য বিচার দাবি করেন।
এলাকাবাসীও গৃহবধূর পাশে দাঁড়িয়ে তার স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
বাগেরহাটে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বসত বাড়ি ফিরে পেতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটে এক গৃহবধূর ওপর নির্যাতন, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বসতবাড়ি ফেরৎ দেওয়ার দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার ষাটগুম্বজ ইউনিয়নের সদুল্লাপুর এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মানুষ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সংবাদকর্মীরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গৃহবধূ রোজিনা বেগম জানান, তিনি ২৫ বছর আগে সদুল্লাপুর এলাকার হুমাউন কবিরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের কিছুদিন পর তিনি জানতে পারেন, তার স্বামী তার এক ফুফাতো বোনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর স্বামী তার ফুফাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যায়।
রোজিনা বেগম বলেন, “সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি স্বামীর শাশুড়ি-শ্বশুরদের সঙ্গে বসবাস করতে থাকি। শ্বশুর-শাশুড়ী আমাদের কোনো সহায়তা দেয়নি। শ্বশুরের পুরাতন মুদি দোকান থেকে সামান্য উপার্জন করে জীবনধারণ করতে হয়েছে। পরে স্বামীর চাচা ও ফুফু পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করতে চাইলে আমার ও সন্তানদের নিরাপত্তার জন্য নিজ অর্থে কওলা দলিলের মাধ্যমে জমি কিনে নিয়েছি। স্বামী সেই জমি আমাকে থেকে অন্যায়ভাবে নিতে চেয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বামী নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের মারধর করেছে। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এরপর বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি এবং একতরফাভাবে তালাক পাঠিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে সে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে আমার বাড়িতে বসিয়ে রেখেছে।”
রোজিনা বেগম অভিযোগ করেন, দ্বিতীয় স্ত্রী মুনিয়া আক্তার ময়ুরী সম্প্রতি মুরুব্বিদের উপর দা দিয়ে হামলার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে এবং এ ধরনের হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি মানববন্ধনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন এবং কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায্য বিচার দাবি করেন।
এলাকাবাসীও গৃহবধূর পাশে দাঁড়িয়ে তার স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।