সুকুমার ঋষি, পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলায় ১১ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে মসজিদের ইমাম মুসা (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার শ্রীকলা নতুনপুকুর জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় জনতা ইমামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
গ্রেফতারকৃত ইমাম মুসা উপজেলার গবিরাকুড়ি গ্রামের মৃত আব্দুস শুকুরের ছেলে এবং শ্রীকলা নতুনপুকুর জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শ্রীকলা গ্রামের ফাতেমা বেগমের ছেলে নুর মোহাম্মদ (১১) স্থানীয় আফজালুল উলুম মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র। ২৩ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে নুর মোহাম্মদ নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যায়। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও বাড়ি না ফেরায় তার মা ফাতেমা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এক পর্যায়ে তিনি মসজিদে গিয়ে ছেলের জুতা দেখতে পান। কিন্তু মসজিদ ফাঁকা এবং আলো নিভানো ছিল। দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলতেই তিনি দেখেন, ইমাম মুসা তার ছেলেকে বলাৎকার করেছেন। বিষয়টি টের পেয়ে মুসা সাইকেলে পালানোর চেষ্টা করলে ফাতেমার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে আটক করে এবং উত্তেজিত জনতা প্রাথমিকভাবে শাস্তি দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় শিশুর মা ফাতেমা বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মুসাকে গ্রেফতার দেখায়।
পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন, “ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। আমরা ভিকটিম শিশুর জবানবন্দি নিয়েছি এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃত ইমাম মুসাকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”
নওগাঁর পোরশায় ১১ বছরের শিশুকে বলাৎকার: মসজিদের ইমাম আটক
সুকুমার ঋষি, পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলায় ১১ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে মসজিদের ইমাম মুসা (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার শ্রীকলা নতুনপুকুর জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় জনতা ইমামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
গ্রেফতারকৃত ইমাম মুসা উপজেলার গবিরাকুড়ি গ্রামের মৃত আব্দুস শুকুরের ছেলে এবং শ্রীকলা নতুনপুকুর জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শ্রীকলা গ্রামের ফাতেমা বেগমের ছেলে নুর মোহাম্মদ (১১) স্থানীয় আফজালুল উলুম মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র। ২৩ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে নুর মোহাম্মদ নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যায়। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও বাড়ি না ফেরায় তার মা ফাতেমা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এক পর্যায়ে তিনি মসজিদে গিয়ে ছেলের জুতা দেখতে পান। কিন্তু মসজিদ ফাঁকা এবং আলো নিভানো ছিল। দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলতেই তিনি দেখেন, ইমাম মুসা তার ছেলেকে বলাৎকার করেছেন। বিষয়টি টের পেয়ে মুসা সাইকেলে পালানোর চেষ্টা করলে ফাতেমার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে আটক করে এবং উত্তেজিত জনতা প্রাথমিকভাবে শাস্তি দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় শিশুর মা ফাতেমা বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মুসাকে গ্রেফতার দেখায়।
পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন, “ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। আমরা ভিকটিম শিশুর জবানবন্দি নিয়েছি এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃত ইমাম মুসাকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”