মাভাবিপ্রবিতে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রকাশ

মো. জিসান রহমান, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (মাকসু) গঠনের জন্য প্রণীত গঠনতন্ত্রের খসড়া আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়ায় কেন্দ্রীয় সংসদে ২১টি এবং প্রতিটি হল সংসদে ১৪টি পদ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

খসড়া অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংসদের ১৯টি পদে সরাসরি শিক্ষার্থীদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচন হবে। বাকি দুটি পদ—সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ—পদাধিকারবলে যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং একজন শিক্ষক প্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করবেন। একইভাবে, প্রতিটি হল সংসদে ১২টি পদে সরাসরি নির্বাচন হবে, আর হলের প্রাধ্যক্ষ সভাপতি এবং একজন আবাসিক শিক্ষক বা হাউস টিউটর কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন।

গঠনতন্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পূর্ণকালীন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীই সংসদের সদস্য হবেন। তবে সান্ধ্য, ডিপ্লোমা ও স্বল্পমেয়াদি কোর্সের শিক্ষার্থীরা সদস্যপদ পাবেন না। এখানে বয়স নয়, বরং বৈধ শিক্ষার্থী অবস্থানই সদস্যপদ ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের মূল যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষার্থী অবস্থান বাতিল বা স্থগিত হলে তার সংসদীয় সদস্যপদও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।

কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম বলেন,

“২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাওয়া মতামলের ভিত্তিতে সংশোধিত খসড়া তৈরি করা হয়েছে। ৪ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের জন্য সংশোধিত খসড়া পুনরায় প্রকাশ করা হবে এবং ৮ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে গঠনতন্ত্রটি চূড়ান্ত করা হবে।”

এর আগে, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ গঠনের লক্ষ্যে গত ২৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ২৫০তম সভায় আট সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে আহ্বায়ক ছিলেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. মহিউদ্দিন, এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম।

কমিটির দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিক আইন ও নীতিমালা পর্যালোচনা, ছাত্র সংসদের কাঠামো ও প্রক্রিয়া নির্ধারণ এবং পূর্ণাঙ্গ গঠনতন্ত্র প্রণয়ন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যাশা, নতুন গঠনতন্ত্র কার্যকর হলে মাভাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ হবে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও শিক্ষার্থী পরিচালিত—যা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চা ও নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মাভাবিপ্রবিতে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রকাশ

নভেম্বর ১, ২০২৫

মো. জিসান রহমান, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (মাকসু) গঠনের জন্য প্রণীত গঠনতন্ত্রের খসড়া আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়ায় কেন্দ্রীয় সংসদে ২১টি এবং প্রতিটি হল সংসদে ১৪টি পদ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

খসড়া অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংসদের ১৯টি পদে সরাসরি শিক্ষার্থীদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচন হবে। বাকি দুটি পদ—সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ—পদাধিকারবলে যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং একজন শিক্ষক প্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করবেন। একইভাবে, প্রতিটি হল সংসদে ১২টি পদে সরাসরি নির্বাচন হবে, আর হলের প্রাধ্যক্ষ সভাপতি এবং একজন আবাসিক শিক্ষক বা হাউস টিউটর কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন।

গঠনতন্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পূর্ণকালীন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীই সংসদের সদস্য হবেন। তবে সান্ধ্য, ডিপ্লোমা ও স্বল্পমেয়াদি কোর্সের শিক্ষার্থীরা সদস্যপদ পাবেন না। এখানে বয়স নয়, বরং বৈধ শিক্ষার্থী অবস্থানই সদস্যপদ ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের মূল যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষার্থী অবস্থান বাতিল বা স্থগিত হলে তার সংসদীয় সদস্যপদও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।

কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম বলেন,

“২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাওয়া মতামলের ভিত্তিতে সংশোধিত খসড়া তৈরি করা হয়েছে। ৪ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের জন্য সংশোধিত খসড়া পুনরায় প্রকাশ করা হবে এবং ৮ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে গঠনতন্ত্রটি চূড়ান্ত করা হবে।”

এর আগে, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ গঠনের লক্ষ্যে গত ২৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ২৫০তম সভায় আট সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে আহ্বায়ক ছিলেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. মহিউদ্দিন, এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম।

কমিটির দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিক আইন ও নীতিমালা পর্যালোচনা, ছাত্র সংসদের কাঠামো ও প্রক্রিয়া নির্ধারণ এবং পূর্ণাঙ্গ গঠনতন্ত্র প্রণয়ন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যাশা, নতুন গঠনতন্ত্র কার্যকর হলে মাভাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ হবে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও শিক্ষার্থী পরিচালিত—যা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চা ও নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।