দাকোপে বোটডুবির তিন দিন পর নিখোঁজ নারী পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার

এনায়েত করিম রাজিব
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

সুন্দরবন ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে দাকোপের ঢাংমারী নদীতে বোটডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া নারী পর্যটকের মৃতদেহ তিন দিন পর উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। সোমবার সকাল ৭টার দিকে মোংলার সাইলো জেটি সংলগ্ন নদী এলাকায় ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহটি দেখতে পায় উদ্ধারকারী দল। পরে সেটি উদ্ধার করে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে ১৪ জন পর্যটক করমজল ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জালি বোটে রওনা হন। বেলা ১টার দিকে তারা ঢাংমারী খালসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে নদীতে আকস্মিক প্রবল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এর ফলে বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। স্থানীয় বোটগুলো দ্রুত এগিয়ে এসে পানিতে পড়ে যাওয়া ১৩ জন পর্যটককে জীবিত উদ্ধার করে। তবে এক নারীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

দুর্ঘটনার পর বোটে থাকা এক ব্যক্তি কোস্ট গার্ডকে ঘটনা জানালে মোংলা বেইস ও হারবারিয়া স্টেশন থেকে দুইটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত নদীতে অনুসন্ধান শুরু করে। নদীর গভীরতা, স্রোত ও জোয়ারভাটার কারণে অনুসন্ধান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হলেও উদ্ধারকারী দল শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত টানা অনুসন্ধান চালিয়ে যায়।

অবশেষে সোমবার ভোরের জোয়ার নামার পর সাইলো জেটি এলাকার কাছে ভাসমান মৃতদেহটি নজরে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্রোতের টানে মৃতদেহটি দুর্ঘটনাস্থল থেকে ভেসে সেখানে পৌঁছেছে।

কোস্ট গার্ড জানায়, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে তারা সর্বদা তৎপর রয়েছে এবং যেকোনো দুর্ঘটনা বা সংকট পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়ার মতো প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। এ ধরনের উদ্ধার অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।বাগেরহাটে দীঘিতে ভাসমান রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

দাকোপে বোটডুবির তিন দিন পর নিখোঁজ নারী পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার

নভেম্বর ১০, ২০২৫

এনায়েত করিম রাজিব
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

সুন্দরবন ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে দাকোপের ঢাংমারী নদীতে বোটডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া নারী পর্যটকের মৃতদেহ তিন দিন পর উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। সোমবার সকাল ৭টার দিকে মোংলার সাইলো জেটি সংলগ্ন নদী এলাকায় ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহটি দেখতে পায় উদ্ধারকারী দল। পরে সেটি উদ্ধার করে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে ১৪ জন পর্যটক করমজল ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জালি বোটে রওনা হন। বেলা ১টার দিকে তারা ঢাংমারী খালসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে নদীতে আকস্মিক প্রবল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এর ফলে বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। স্থানীয় বোটগুলো দ্রুত এগিয়ে এসে পানিতে পড়ে যাওয়া ১৩ জন পর্যটককে জীবিত উদ্ধার করে। তবে এক নারীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

দুর্ঘটনার পর বোটে থাকা এক ব্যক্তি কোস্ট গার্ডকে ঘটনা জানালে মোংলা বেইস ও হারবারিয়া স্টেশন থেকে দুইটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত নদীতে অনুসন্ধান শুরু করে। নদীর গভীরতা, স্রোত ও জোয়ারভাটার কারণে অনুসন্ধান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হলেও উদ্ধারকারী দল শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত টানা অনুসন্ধান চালিয়ে যায়।

অবশেষে সোমবার ভোরের জোয়ার নামার পর সাইলো জেটি এলাকার কাছে ভাসমান মৃতদেহটি নজরে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্রোতের টানে মৃতদেহটি দুর্ঘটনাস্থল থেকে ভেসে সেখানে পৌঁছেছে।

কোস্ট গার্ড জানায়, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে তারা সর্বদা তৎপর রয়েছে এবং যেকোনো দুর্ঘটনা বা সংকট পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়ার মতো প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। এ ধরনের উদ্ধার অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।বাগেরহাটে দীঘিতে ভাসমান রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার