মাজহারুল ইসলাম বাদল, নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন—জিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ (৭০), শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন ওরফে ধনু মেম্বার (৭৫) এবং শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পল্লী চিকিৎসক আবু জাফর জামাল (৬০)। তিনজনই দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় ওয়ারেন্টবদ্ধ আসামি ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আদালত থেকে জারি করা ওয়ারেন্ট দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়। এরই অংশ হিসেবে গত কয়েক দিনের পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রবিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তিন নেতাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ কেউ মনে করছেন, গ্রেপ্তার হওয়া নেতারা দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ও দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে এলাকায় কর্তৃত্ব বজায় রেখেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে ভয় পেত। আবার আরেক অংশ মনে করছেন, নবীনগরের রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিনের স্থিতিশীল অবস্থা এই গ্রেপ্তারের ফলে নতুন করে পরিবর্তিত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনূর ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করে তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
নবীনগরজুড়ে এই ঘটনাকে ঘিরে আলোচনা চলছে, এবং অনেকে বিষয়টিকে এলাকার রাজনৈতিক গণসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করছেন।
আরোও পড়ুন – নবীনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে অবৈধ বন্দুকসহ যুবক গ্রেফতার
নবীনগরে ওয়ারেন্টবদ্ধ তিন আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
মাজহারুল ইসলাম বাদল, নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন—জিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ (৭০), শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন ওরফে ধনু মেম্বার (৭৫) এবং শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পল্লী চিকিৎসক আবু জাফর জামাল (৬০)। তিনজনই দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় ওয়ারেন্টবদ্ধ আসামি ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আদালত থেকে জারি করা ওয়ারেন্ট দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়। এরই অংশ হিসেবে গত কয়েক দিনের পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রবিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তিন নেতাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ কেউ মনে করছেন, গ্রেপ্তার হওয়া নেতারা দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ও দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে এলাকায় কর্তৃত্ব বজায় রেখেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে ভয় পেত। আবার আরেক অংশ মনে করছেন, নবীনগরের রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিনের স্থিতিশীল অবস্থা এই গ্রেপ্তারের ফলে নতুন করে পরিবর্তিত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনূর ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করে তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
নবীনগরজুড়ে এই ঘটনাকে ঘিরে আলোচনা চলছে, এবং অনেকে বিষয়টিকে এলাকার রাজনৈতিক গণসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করছেন।
আরোও পড়ুন – নবীনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে অবৈধ বন্দুকসহ যুবক গ্রেফতার