মোংলায় যৌথ অভিযানে হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক

এনায়েত করিম রাজিব, বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোংলা উপকূলীয় অঞ্চলে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বড় ধরনের বন্যপ্রাণী উদ্ধার অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মধ্যরাতে পরিচালিত এই অভিযানে হরিণ শিকারের ব্যাপক প্রমাণসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় প্রায় ৩২ কেজি হরিণের মাংস, দুটি মাথা, আটটি পা ও দীর্ঘ প্রায় দুই হাজার মিটার অবৈধ শিকারের ফাঁদ।

কোস্ট গার্ডের হারবাড়িয়া স্টেশনের সদস্যরা জানান, গোপন সূত্রে তথ্য আসে যে কানাইনগর এলাকায় অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী শিকারের প্রস্তুতি চলছে এবং শিকার করা হরিণের মাংস পাচারের জন্য রাখা হয়েছে। তথ্যের ভিত্তিতে গভীর রাতে কোস্ট গার্ড ও মোংলা থানা পুলিশের সদস্যরা যৌথভাবে ওই এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে একটি সন্দেহভাজন ঘর থেকে হরিণ শিকারের প্রমাণসহ আটক করা হয় একজন শিকারিকে। উদ্ধার হওয়া মালামালের মধ্যে ছিল সদ্য কাটা হরিণের মাংস, দুটি বিচ্ছিন্ন মাথা, পা এবং প্রচুর পরিমাণে ফাঁদ যা বনাঞ্চলে স্থাপন করা হয়ে থাকে। এসব ফাঁদের মাধ্যমে অবৈধভাবে সুন্দরবনের বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির হরিণ শিকার করা হয় বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা।

কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, বন্যপ্রাণী রক্ষায় কোস্ট গার্ড নিয়মিত নজরদারি ও অভিযান পরিচালনা করছে। বনাঞ্চলে শিকারি চক্রগুলোকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতেও বন্যপ্রাণী হত্যা, পাচার এবং অবৈধ ফাঁদ বসানোর মতো অপরাধ রোধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আটক শিকারি এবং উদ্ধার হওয়া মাংস, মাথা, পা ও ফাঁদ মোংলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় পরিবেশবিদরা মনে করেন, সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় হরিণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবুও নিয়মিত শিকার ও পাচারের ফলে এ প্রজাতি হুমকির মুখে পড়ছে। তারা এ ধরনের অভিযানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন।

অভিযানের ফলে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ শিকার চক্রগুলো কিছুটা হলেও সতর্ক হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

মোংলায় যৌথ অভিযানে হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক

নভেম্বর ২৬, ২০২৫

এনায়েত করিম রাজিব, বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোংলা উপকূলীয় অঞ্চলে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বড় ধরনের বন্যপ্রাণী উদ্ধার অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মধ্যরাতে পরিচালিত এই অভিযানে হরিণ শিকারের ব্যাপক প্রমাণসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় প্রায় ৩২ কেজি হরিণের মাংস, দুটি মাথা, আটটি পা ও দীর্ঘ প্রায় দুই হাজার মিটার অবৈধ শিকারের ফাঁদ।

কোস্ট গার্ডের হারবাড়িয়া স্টেশনের সদস্যরা জানান, গোপন সূত্রে তথ্য আসে যে কানাইনগর এলাকায় অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী শিকারের প্রস্তুতি চলছে এবং শিকার করা হরিণের মাংস পাচারের জন্য রাখা হয়েছে। তথ্যের ভিত্তিতে গভীর রাতে কোস্ট গার্ড ও মোংলা থানা পুলিশের সদস্যরা যৌথভাবে ওই এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে একটি সন্দেহভাজন ঘর থেকে হরিণ শিকারের প্রমাণসহ আটক করা হয় একজন শিকারিকে। উদ্ধার হওয়া মালামালের মধ্যে ছিল সদ্য কাটা হরিণের মাংস, দুটি বিচ্ছিন্ন মাথা, পা এবং প্রচুর পরিমাণে ফাঁদ যা বনাঞ্চলে স্থাপন করা হয়ে থাকে। এসব ফাঁদের মাধ্যমে অবৈধভাবে সুন্দরবনের বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির হরিণ শিকার করা হয় বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা।

কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, বন্যপ্রাণী রক্ষায় কোস্ট গার্ড নিয়মিত নজরদারি ও অভিযান পরিচালনা করছে। বনাঞ্চলে শিকারি চক্রগুলোকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতেও বন্যপ্রাণী হত্যা, পাচার এবং অবৈধ ফাঁদ বসানোর মতো অপরাধ রোধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আটক শিকারি এবং উদ্ধার হওয়া মাংস, মাথা, পা ও ফাঁদ মোংলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় পরিবেশবিদরা মনে করেন, সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় হরিণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবুও নিয়মিত শিকার ও পাচারের ফলে এ প্রজাতি হুমকির মুখে পড়ছে। তারা এ ধরনের অভিযানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন।

অভিযানের ফলে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ শিকার চক্রগুলো কিছুটা হলেও সতর্ক হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।