নবীনগরে সালিশকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি: শালিসকারকসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার

মাজহারুল ইসলাম বাদলঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরে সালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে সংঘটিত গোলাগুলির ঘটনায় শালিসকারকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় সংঘটিত এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে এবং তদন্ত কার্যক্রম জোরদার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি নবীনগর পৌর এলাকার একটি মারামারির ঘটনার মীমাংসার লক্ষ্যে দুই পক্ষকে নিয়ে সালিশ বসে। সালিশ চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সালিশ শেষ না হতেই সন্ধ্যার দিকে আদালত সড়কের কালীবাড়ি মোড় এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সেখানে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।

এই ঘটনায় মো. রাব্বি (২১) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আহত যুবককে দ্রুত নবীনগর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জসীম উদ্দিন বাছির (৫৫), আহসান উল্লাহ (৪৪), আতাউর রহমান (৪৮), জুবায়েদ মুন্সি (২০) এবং জাহিদ মিয়া (১৯)। তাদের মধ্যে সালিশ পরিচালনায় যুক্ত একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ ঘটনায় আহত যুবকের মা জোহরা খাতুন বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাঁচজন গ্রেপ্তারকৃতসহ মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সালিশ শেষে বাড়ি ফেরার সময় কালীবাড়ি মোড় এলাকায় পরিকল্পিতভাবে হামলার শিকার হন রাব্বি। ঘটনার সময় একজন যুবককে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেলেও তার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।

পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত নজরদারি জোরদার করা হয়েছে এবং যে কোনো ধরনের সহিংসতা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

নবীনগরে সালিশকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি: শালিসকারকসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫

মাজহারুল ইসলাম বাদলঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরে সালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে সংঘটিত গোলাগুলির ঘটনায় শালিসকারকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় সংঘটিত এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে এবং তদন্ত কার্যক্রম জোরদার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি নবীনগর পৌর এলাকার একটি মারামারির ঘটনার মীমাংসার লক্ষ্যে দুই পক্ষকে নিয়ে সালিশ বসে। সালিশ চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সালিশ শেষ না হতেই সন্ধ্যার দিকে আদালত সড়কের কালীবাড়ি মোড় এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সেখানে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।

এই ঘটনায় মো. রাব্বি (২১) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আহত যুবককে দ্রুত নবীনগর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জসীম উদ্দিন বাছির (৫৫), আহসান উল্লাহ (৪৪), আতাউর রহমান (৪৮), জুবায়েদ মুন্সি (২০) এবং জাহিদ মিয়া (১৯)। তাদের মধ্যে সালিশ পরিচালনায় যুক্ত একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ ঘটনায় আহত যুবকের মা জোহরা খাতুন বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাঁচজন গ্রেপ্তারকৃতসহ মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সালিশ শেষে বাড়ি ফেরার সময় কালীবাড়ি মোড় এলাকায় পরিকল্পিতভাবে হামলার শিকার হন রাব্বি। ঘটনার সময় একজন যুবককে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেলেও তার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।

পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত নজরদারি জোরদার করা হয়েছে এবং যে কোনো ধরনের সহিংসতা কঠোরভাবে দমন করা হবে।