ডাকসু নির্বাচন কাভারেজে সাংবাদিকের মর্মান্তিক মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিকের অকাল মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ঘটনা সাংবাদিক সমাজে শোকের ছায়া ফেলেছে।

নিহত সাংবাদিকের নাম তরিকুল ইসলাম শিবলী (৪০)। তিনি টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল এস’-এ সিটি রিপোর্টার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিলেন। সহকর্মী ও দর্শকদের কাছে তিনি দক্ষ ও নিষ্ঠাবান সংবাদকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে কার্জন হলে সরাসরি সম্প্রচারের (লাইভ) সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন শিবলী। চোখের সামনে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আশপাশে থাকা সহকর্মীরা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সহকর্মী সাংবাদিক সোহেল রানা বলেন, “লাইভ সংবাদ চলাকালীন হঠাৎ শিবলী ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সবকিছু এত দ্রুত ঘটে যে আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি।”

তরিকুল ইসলাম শিবলীর মৃত্যুতে সহকর্মী সাংবাদিক মহলসহ পুরো গণমাধ্যম অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, “দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন সংবাদকর্মীর জীবন দিতে হওয়া অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এটি আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”

ব্যক্তিগত জীবনে শিবলী ছিলেন দুই কন্যার জনক। কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার সন্তান তিনি পরিবার নিয়ে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন। কর্মজীবনে তিনি সর্বদা সাহসী ও সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রশংসিত ছিলেন।

তাঁর আকস্মিক মৃত্যু সংবাদমাধ্যমে কর্মরতদের জন্য এক গভীর আঘাত হয়ে এসেছে। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, তিনি শুধু একজন দক্ষ সাংবাদিকই ছিলেন না, ছিলেন একজন সহজ-সরল ও সহৃদয় মানুষও।

ডাকসু নির্বাচন কাভারেজে সাংবাদিকের মর্মান্তিক মৃত্যু

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫

নিউজ ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিকের অকাল মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ঘটনা সাংবাদিক সমাজে শোকের ছায়া ফেলেছে।

নিহত সাংবাদিকের নাম তরিকুল ইসলাম শিবলী (৪০)। তিনি টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল এস’-এ সিটি রিপোর্টার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিলেন। সহকর্মী ও দর্শকদের কাছে তিনি দক্ষ ও নিষ্ঠাবান সংবাদকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে কার্জন হলে সরাসরি সম্প্রচারের (লাইভ) সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন শিবলী। চোখের সামনে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আশপাশে থাকা সহকর্মীরা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সহকর্মী সাংবাদিক সোহেল রানা বলেন, “লাইভ সংবাদ চলাকালীন হঠাৎ শিবলী ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সবকিছু এত দ্রুত ঘটে যে আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি।”

তরিকুল ইসলাম শিবলীর মৃত্যুতে সহকর্মী সাংবাদিক মহলসহ পুরো গণমাধ্যম অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, “দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন সংবাদকর্মীর জীবন দিতে হওয়া অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এটি আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”

ব্যক্তিগত জীবনে শিবলী ছিলেন দুই কন্যার জনক। কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার সন্তান তিনি পরিবার নিয়ে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন। কর্মজীবনে তিনি সর্বদা সাহসী ও সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রশংসিত ছিলেন।

তাঁর আকস্মিক মৃত্যু সংবাদমাধ্যমে কর্মরতদের জন্য এক গভীর আঘাত হয়ে এসেছে। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, তিনি শুধু একজন দক্ষ সাংবাদিকই ছিলেন না, ছিলেন একজন সহজ-সরল ও সহৃদয় মানুষও।