পৌরনীতি ও নাগরিকতা বই নিয়ে নতুন ভাবনা–
লেখক: নাজমুল হক প্রদীপ (এল.এল.বি(শেষ বর্ষ)(জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়),(বি.এস.সি, এম.এস.সি (গণিত)(জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), বি.এড, প্রাক-এম.এড, এম.এড(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নবম ও দশম শ্রেণীর মানবিক শাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পৌরনীতি ও নাগরিকতা। তবে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত ছাত্র নাজমুল হক প্রদীপ মনে করেন, বর্তমান কারিকুলাম ও শিক্ষাক্রম যৌক্তিক হলেও সময়োপযোগী মানোন্নয়ন প্রয়োজন। তাঁর মতে, শিক্ষার্থীরা এ বিষয়টি শুধু পরীক্ষার জন্য নয়, বাস্তব জীবনে নাগরিক সচেতনতা গড়ে তুলতে শিখবে—এমনভাবে পাঠদান করতে হবে।
প্রদীপের নতুন ভাবনায় রয়েছে সহজবোধ্য উপস্থাপনা। তিনি মনে করেন, অধ্যায়ভিত্তিক জটিল ব্যাখ্যা বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীর মানসিক স্তরের সাথে মিল রেখে উদাহরণ, গল্প ও আলোচনার মাধ্যমে শেখানো উচিত। এতে করে তারা ‘অধিকার ও কর্তব্য’, ‘আইন ও শাসনব্যবস্থা’, ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র’, ‘সামাজিক দায়িত্ব’, ‘নৈতিকতা ও মূল্যবোধ’—এসব বিষয় বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে বুঝতে পারবে।
তিনি বলেন, পৌরনীতি আসলে নাগরিকতার ভিত্তি। যেখানে পৌরনীতি শেখায় রাষ্ট্র, সমাজ ও আইনের কাঠামো, সেখানে নাগরিকতা গড়ে তোলে সেই জ্ঞানের আলোকে দায়িত্বশীল আচরণ। একদিকে অধিকার জানা, অন্যদিকে কর্তব্য পালন—এই দুইয়ের সমন্বয়েই একজন সচেতন নাগরিক তৈরি হয়। তাই এ বিষয়ের পাঠদান শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক ও সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার।

শিক্ষার্থী কার্যক্রম নিয়েও প্রদীপের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি মনে করেন, প্রতিটি অধ্যায়ের সঙ্গে গ্রুপ ডিসকাশন, কুইজ, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, মডেল ভোটাভুটি, সামাজিক সেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ যুক্ত করলে শিক্ষার্থীরা বাস্তবে নাগরিকত্ব অনুশীলন করতে পারবে। অন্যদিকে পাঠদানের কার্যক্রমে শিক্ষকরা নোচার ডায়াগ্রাম, চিত্র প্রদর্শনী, ভূমিকা খেলা (Role Play) এবং বাস্তব উদাহরণ ব্যবহার করলে বিষয়টি হবে আরও প্রাণবন্ত ও বাস্তবমুখী।
তিনি বিশ্বাস করেন, এ ধরনের সমন্বিত পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের কেবল পরীক্ষার প্রস্তুতি দেবে না, বরং তাদের দায়িত্বশীল, সচেতন ও কর্মমুখী নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। শিগগিরই তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে নবম ও দশম শ্রেণীর জন্য মানোন্নত সংস্করণ প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
নাজমুল হক প্রদীপের বক্তব্যে তিনি বলেন:
“আমার বিশ্বাস, শিক্ষা শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষা এমন হতে হবে, যা একজন শিক্ষার্থীকে সচেতন নাগরিক করে তুলবে। পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি যদি আমরা বাস্তব জীবনের সাথে সংযুক্ত করতে পারি, তবে আগামী প্রজন্ম কেবল ভালো ছাত্র নয়, বরং প্রকৃত অর্থে ভালো মানুষ ও ভালো নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।”
“অধিকার ও কর্তব্যের” সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন নাগরিক করে গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গি থাকা অত্যন্ত আবশ্যক – নাজমুল হক প্রদীপ
পৌরনীতি ও নাগরিকতা বই নিয়ে নতুন ভাবনা–
লেখক: নাজমুল হক প্রদীপ (এল.এল.বি(শেষ বর্ষ)(জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়),(বি.এস.সি, এম.এস.সি (গণিত)(জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), বি.এড, প্রাক-এম.এড, এম.এড(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নবম ও দশম শ্রেণীর মানবিক শাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পৌরনীতি ও নাগরিকতা। তবে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত ছাত্র নাজমুল হক প্রদীপ মনে করেন, বর্তমান কারিকুলাম ও শিক্ষাক্রম যৌক্তিক হলেও সময়োপযোগী মানোন্নয়ন প্রয়োজন। তাঁর মতে, শিক্ষার্থীরা এ বিষয়টি শুধু পরীক্ষার জন্য নয়, বাস্তব জীবনে নাগরিক সচেতনতা গড়ে তুলতে শিখবে—এমনভাবে পাঠদান করতে হবে।
প্রদীপের নতুন ভাবনায় রয়েছে সহজবোধ্য উপস্থাপনা। তিনি মনে করেন, অধ্যায়ভিত্তিক জটিল ব্যাখ্যা বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীর মানসিক স্তরের সাথে মিল রেখে উদাহরণ, গল্প ও আলোচনার মাধ্যমে শেখানো উচিত। এতে করে তারা ‘অধিকার ও কর্তব্য’, ‘আইন ও শাসনব্যবস্থা’, ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র’, ‘সামাজিক দায়িত্ব’, ‘নৈতিকতা ও মূল্যবোধ’—এসব বিষয় বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে বুঝতে পারবে।
তিনি বলেন, পৌরনীতি আসলে নাগরিকতার ভিত্তি। যেখানে পৌরনীতি শেখায় রাষ্ট্র, সমাজ ও আইনের কাঠামো, সেখানে নাগরিকতা গড়ে তোলে সেই জ্ঞানের আলোকে দায়িত্বশীল আচরণ। একদিকে অধিকার জানা, অন্যদিকে কর্তব্য পালন—এই দুইয়ের সমন্বয়েই একজন সচেতন নাগরিক তৈরি হয়। তাই এ বিষয়ের পাঠদান শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক ও সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার।

শিক্ষার্থী কার্যক্রম নিয়েও প্রদীপের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি মনে করেন, প্রতিটি অধ্যায়ের সঙ্গে গ্রুপ ডিসকাশন, কুইজ, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, মডেল ভোটাভুটি, সামাজিক সেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ যুক্ত করলে শিক্ষার্থীরা বাস্তবে নাগরিকত্ব অনুশীলন করতে পারবে। অন্যদিকে পাঠদানের কার্যক্রমে শিক্ষকরা নোচার ডায়াগ্রাম, চিত্র প্রদর্শনী, ভূমিকা খেলা (Role Play) এবং বাস্তব উদাহরণ ব্যবহার করলে বিষয়টি হবে আরও প্রাণবন্ত ও বাস্তবমুখী।
তিনি বিশ্বাস করেন, এ ধরনের সমন্বিত পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের কেবল পরীক্ষার প্রস্তুতি দেবে না, বরং তাদের দায়িত্বশীল, সচেতন ও কর্মমুখী নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। শিগগিরই তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে নবম ও দশম শ্রেণীর জন্য মানোন্নত সংস্করণ প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
নাজমুল হক প্রদীপের বক্তব্যে তিনি বলেন:
“আমার বিশ্বাস, শিক্ষা শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষা এমন হতে হবে, যা একজন শিক্ষার্থীকে সচেতন নাগরিক করে তুলবে। পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি যদি আমরা বাস্তব জীবনের সাথে সংযুক্ত করতে পারি, তবে আগামী প্রজন্ম কেবল ভালো ছাত্র নয়, বরং প্রকৃত অর্থে ভালো মানুষ ও ভালো নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।”