জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরবাসীর বহু প্রতীক্ষিত রানীগঞ্জ সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই সেতু এবং আশপাশের ল্যাম্পপোস্টগুলো নষ্ট হয়ে রয়েছে। ফলে সন্ধ্যা নামলেই সেতু ও সংযোগ সড়ক অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে এবং এতে চুরি–ছিনতাইসহ নানা অপরাধের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ, যাত্রী ও দর্শনার্থীরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর উদ্বোধনের পর রানীগঞ্জ সেতু সুনামগঞ্জবাসীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে। কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত ৭০২.৩২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০.২৫ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। এর ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সুনামগঞ্জের দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার কমেছে এবং হবিগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী জেলায় যাতায়াতের সময়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা প্রতিদিন এই সেতু দেখতে আসছেন।
কিন্তু উদ্বোধনের পরপরই ল্যাম্পপোস্টগুলো একে একে অচল হয়ে পড়ে। বর্তমানে পুরো সেতু ও দুই প্রান্তের কয়েক কিলোমিটার সংযোগ সড়ক সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। ফলে চুরি–ছিনতাই ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে এবং এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজারো মানুষ ও যানবাহন এই সেতু ব্যবহার করলেও অন্ধকারে নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই। দুই প্রান্তে পুলিশ বক্স স্থাপন, ল্যাম্পপোস্ট দ্রুত মেরামত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদারের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের বাসিন্দা হাজী আখলই বলেন, “সেতু উদ্বোধনের পর আমরা নিরাপদ চলাচলের আশা করেছিলাম। কিন্তু লাইট না থাকায় এখন আমরা ভয় নিয়ে চলাচল করি।” দক্ষিণ প্রান্তের আলমপুর গ্রামের মনজু মিয়া বলেন, “সন্ধ্যার পর অন্ধকারে চুরি–ছিনতাইসহ নানা অপরাধের ঝুঁকি তৈরি হয়। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো জরুরি।”
রানীগঞ্জ সেতুর লাইটের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় বাসিন্দা মো. জমিরুল মিয়া জানান, “লাইটের কাজ এমএম বিল্ডার্সের করার কথা ছিল। শর্ট সার্কিটের কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সুইচ চালু করলে আগুন লেগে যায়। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী স্যার ভালো বলতে পারবেন।”
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সুনামগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, “রানীগঞ্জ সেতুর ল্যাম্পপোস্টগুলো দীর্ঘদিন ধরে জ্বলছে না। খুব শিগগিরই মেরামতের কাজ শুরু হবে এবং এর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে।”
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, বহুল প্রত্যাশিত এই সেতুর লাইটিং ব্যবস্থা সচল না থাকায় শুধু যাত্রী ও পর্যটকরাই নয়, পুরো এলাকাই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছে। তারা দ্রুত ল্যাম্পপোস্ট মেরামত, স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন ও অপরাধ দমন কার্যক্রম জোরদারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
জগন্নাথপুরে রানীগঞ্জ সেতুতে দীর্ঘদিন ধরে ল্যাম্পপোস্ট নষ্ট, সন্ধ্যা নামলেই বাড়ছে অপরাধ
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরবাসীর বহু প্রতীক্ষিত রানীগঞ্জ সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই সেতু এবং আশপাশের ল্যাম্পপোস্টগুলো নষ্ট হয়ে রয়েছে। ফলে সন্ধ্যা নামলেই সেতু ও সংযোগ সড়ক অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে এবং এতে চুরি–ছিনতাইসহ নানা অপরাধের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ, যাত্রী ও দর্শনার্থীরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর উদ্বোধনের পর রানীগঞ্জ সেতু সুনামগঞ্জবাসীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে। কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত ৭০২.৩২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০.২৫ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। এর ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সুনামগঞ্জের দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার কমেছে এবং হবিগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী জেলায় যাতায়াতের সময়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা প্রতিদিন এই সেতু দেখতে আসছেন।
কিন্তু উদ্বোধনের পরপরই ল্যাম্পপোস্টগুলো একে একে অচল হয়ে পড়ে। বর্তমানে পুরো সেতু ও দুই প্রান্তের কয়েক কিলোমিটার সংযোগ সড়ক সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। ফলে চুরি–ছিনতাই ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে এবং এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজারো মানুষ ও যানবাহন এই সেতু ব্যবহার করলেও অন্ধকারে নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই। দুই প্রান্তে পুলিশ বক্স স্থাপন, ল্যাম্পপোস্ট দ্রুত মেরামত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদারের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের বাসিন্দা হাজী আখলই বলেন, “সেতু উদ্বোধনের পর আমরা নিরাপদ চলাচলের আশা করেছিলাম। কিন্তু লাইট না থাকায় এখন আমরা ভয় নিয়ে চলাচল করি।” দক্ষিণ প্রান্তের আলমপুর গ্রামের মনজু মিয়া বলেন, “সন্ধ্যার পর অন্ধকারে চুরি–ছিনতাইসহ নানা অপরাধের ঝুঁকি তৈরি হয়। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো জরুরি।”
রানীগঞ্জ সেতুর লাইটের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় বাসিন্দা মো. জমিরুল মিয়া জানান, “লাইটের কাজ এমএম বিল্ডার্সের করার কথা ছিল। শর্ট সার্কিটের কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সুইচ চালু করলে আগুন লেগে যায়। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী স্যার ভালো বলতে পারবেন।”
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সুনামগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, “রানীগঞ্জ সেতুর ল্যাম্পপোস্টগুলো দীর্ঘদিন ধরে জ্বলছে না। খুব শিগগিরই মেরামতের কাজ শুরু হবে এবং এর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে।”
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, বহুল প্রত্যাশিত এই সেতুর লাইটিং ব্যবস্থা সচল না থাকায় শুধু যাত্রী ও পর্যটকরাই নয়, পুরো এলাকাই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছে। তারা দ্রুত ল্যাম্পপোস্ট মেরামত, স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন ও অপরাধ দমন কার্যক্রম জোরদারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি পদক্ষেপ কামনা করেছেন।