অবিলম্বে সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি বিপিজেএফের

সেলিম মাহবুবঃ
বাংলাদেশে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন, মামলা ও হয়রানির ঘটনা নিয়মিত ঘটলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সঠিক বিচার পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে দ্রুত আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম (বিপিজেএফ)।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি কাজী শরিফুল ইসলাম (শাকিল) ও সাধারণ সম্পাদক মো. রোমান আকন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান।

তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও সাংবাদিক সমাজ এখনও কাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা ও মর্যাদা পায়নি। বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ের সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠনের জন্য তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের স্বার্থে একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশাগত মানদণ্ড নির্ধারণে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। অশিক্ষিত বা অপেশাদার কেউ যেন সাংবাদিকতা পেশায় প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য কঠোর নীতিমালা তৈরি ও বাস্তবায়ন করা জরুরি। দেশের সকল সাংবাদিকের একটি জাতীয় ডাটাবেজ তৈরি করে তালিকাভুক্ত করারও দাবি জানানো হয়।

বিপিজেএফের প্রধান দাবিগুলো –

সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন বন্ধে কঠোর আইন করতে হবে।

মাধ্যমিক পর্যায় থেকে সাংবাদিকতা বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

পেশাগত দায়িত্ব পালনে হামলা বা মামলার ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে বহন করতে হবে।

হরতাল, অবরোধ বা সংঘর্ষের সময় ঝুঁকিভাতা প্রদান করতে হবে।

কোনো সাংবাদিককে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলায় জড়ালে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

গত ১৫ বছরে যেসব সাংবাদিক মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন, তাদের বাদীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

জুলাই অভ্যুত্থানকালে মিথ্যা মামলায় জড়ানো সাংবাদিকদের মামলা প্রত্যাহার ও বাদীদের শাস্তি দিতে হবে।

প্রতিটি গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ফান্ড গঠন করতে হবে।

যে কোনো মামলায় দোষী প্রমাণের আগে কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা যাবে না।

গণমাধ্যম ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।

বিপিজেএফের মতে, অবিলম্বে সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করা হলে শুধু সাংবাদিকদেরই নয়, বরং গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও শক্তিশালী হবে।

অবিলম্বে সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি বিপিজেএফের

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫

সেলিম মাহবুবঃ
বাংলাদেশে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন, মামলা ও হয়রানির ঘটনা নিয়মিত ঘটলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সঠিক বিচার পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে দ্রুত আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম (বিপিজেএফ)।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি কাজী শরিফুল ইসলাম (শাকিল) ও সাধারণ সম্পাদক মো. রোমান আকন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান।

তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও সাংবাদিক সমাজ এখনও কাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা ও মর্যাদা পায়নি। বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ের সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠনের জন্য তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের স্বার্থে একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশাগত মানদণ্ড নির্ধারণে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। অশিক্ষিত বা অপেশাদার কেউ যেন সাংবাদিকতা পেশায় প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য কঠোর নীতিমালা তৈরি ও বাস্তবায়ন করা জরুরি। দেশের সকল সাংবাদিকের একটি জাতীয় ডাটাবেজ তৈরি করে তালিকাভুক্ত করারও দাবি জানানো হয়।

বিপিজেএফের প্রধান দাবিগুলো –

সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন বন্ধে কঠোর আইন করতে হবে।

মাধ্যমিক পর্যায় থেকে সাংবাদিকতা বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

পেশাগত দায়িত্ব পালনে হামলা বা মামলার ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে বহন করতে হবে।

হরতাল, অবরোধ বা সংঘর্ষের সময় ঝুঁকিভাতা প্রদান করতে হবে।

কোনো সাংবাদিককে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলায় জড়ালে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

গত ১৫ বছরে যেসব সাংবাদিক মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন, তাদের বাদীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

জুলাই অভ্যুত্থানকালে মিথ্যা মামলায় জড়ানো সাংবাদিকদের মামলা প্রত্যাহার ও বাদীদের শাস্তি দিতে হবে।

প্রতিটি গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ফান্ড গঠন করতে হবে।

যে কোনো মামলায় দোষী প্রমাণের আগে কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা যাবে না।

গণমাধ্যম ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।

বিপিজেএফের মতে, অবিলম্বে সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করা হলে শুধু সাংবাদিকদেরই নয়, বরং গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও শক্তিশালী হবে।