বানিয়াচং প্রেসক্লাব সভাপতির ছেলের ওপর ছাত্রশিবিরের সশস্ত্র হামলা

বানিয়াচং প্রতিনিধি, হবিগঞ্জঃ

বানিয়াচংয়ে প্রেসক্লাব সভাপতি ও স্থানীয় সাংবাদিক ইমদাদুল হোসেন খানের ছেলে শাহরিয়ার খান নাফিজ সশস্ত্র হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ৮ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে নন্দীপাড়া এলাকার পুরাতন পশুহাসপাতালের সামনে দারালো অস্ত্র দিয়ে একদল ছাত্রশিবিরের কর্মী তার ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ ও সচেতন নাগরিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, কিছুদিন আগে হবিগঞ্জ–২ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণা করতে মেধাবিকাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করেছিলেন। ক্লাস চলাকালে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে রাজনৈতিক প্রচারণার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে শাহরিয়ার খান নাফিজ ঘটনাটি অন্যায় হিসেবে উল্লেখ করে ফেসবুক লাইভে প্রতিবাদ প্রকাশ করেন। তার প্রতিবাদমূলক বক্তব্য ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে।

হামলার অভিযোগে বলা হয়, ৬ ডিসেম্বর পূর্ব আদমখানী এলাকায় প্রথম দফায় নাফিজের ওপর আক্রমণের চেষ্টা করা হয়েছিল। সেদিন স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হওয়ায় তিনি হামলা থেকে রক্ষা পান। পরে ৮ ডিসেম্বর দুপুরে স্থানীয় বিবির দরগাহ জামে মসজিদের পুকুরঘাটে গোসল শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয় দফায় হামলা করা হয়। হামলাকারীরা দারালো অস্ত্র দিয়ে নাফিজকে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নাফিজের পিতা ইমদাদুল হোসেন খান বানিয়াচং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আহমেদ আলীকে প্রধান আসামি করে দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এবং স্থানীয় সুশীল সমাজ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা কামনা করেছে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

ঘটনার পর বানিয়াচং উপজেলায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বাধা সৃষ্টি করায় যে প্রতিবাদ উঠে এসেছিল, সেই প্রতিবাদের কারণে এ হামলাটি পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়েছে।

বর্তমানে আহত শাহরিয়ার খান নাফিজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনার ন্যায়বিচার চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

বানিয়াচং প্রেসক্লাব সভাপতির ছেলের ওপর ছাত্রশিবিরের সশস্ত্র হামলা

ডিসেম্বর ৮, ২০২৫

বানিয়াচং প্রতিনিধি, হবিগঞ্জঃ

বানিয়াচংয়ে প্রেসক্লাব সভাপতি ও স্থানীয় সাংবাদিক ইমদাদুল হোসেন খানের ছেলে শাহরিয়ার খান নাফিজ সশস্ত্র হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ৮ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে নন্দীপাড়া এলাকার পুরাতন পশুহাসপাতালের সামনে দারালো অস্ত্র দিয়ে একদল ছাত্রশিবিরের কর্মী তার ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ ও সচেতন নাগরিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, কিছুদিন আগে হবিগঞ্জ–২ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণা করতে মেধাবিকাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করেছিলেন। ক্লাস চলাকালে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে রাজনৈতিক প্রচারণার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে শাহরিয়ার খান নাফিজ ঘটনাটি অন্যায় হিসেবে উল্লেখ করে ফেসবুক লাইভে প্রতিবাদ প্রকাশ করেন। তার প্রতিবাদমূলক বক্তব্য ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে।

হামলার অভিযোগে বলা হয়, ৬ ডিসেম্বর পূর্ব আদমখানী এলাকায় প্রথম দফায় নাফিজের ওপর আক্রমণের চেষ্টা করা হয়েছিল। সেদিন স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হওয়ায় তিনি হামলা থেকে রক্ষা পান। পরে ৮ ডিসেম্বর দুপুরে স্থানীয় বিবির দরগাহ জামে মসজিদের পুকুরঘাটে গোসল শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয় দফায় হামলা করা হয়। হামলাকারীরা দারালো অস্ত্র দিয়ে নাফিজকে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নাফিজের পিতা ইমদাদুল হোসেন খান বানিয়াচং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আহমেদ আলীকে প্রধান আসামি করে দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এবং স্থানীয় সুশীল সমাজ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা কামনা করেছে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

ঘটনার পর বানিয়াচং উপজেলায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বাধা সৃষ্টি করায় যে প্রতিবাদ উঠে এসেছিল, সেই প্রতিবাদের কারণে এ হামলাটি পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়েছে।

বর্তমানে আহত শাহরিয়ার খান নাফিজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনার ন্যায়বিচার চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।