সেলিম মাহবুব :
বাংলাদেশ আজ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। স্বাধীনতার অর্ধশতক পরও আমরা জাতি হিসেবে নতুন আশা ও নতুন শৃঙ্খলার পথে অগ্রসর হচ্ছি। কিন্তু দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, হত্যাযজ্ঞ ও একচেটিয়া দমননীতি আমাদের বারবার ব্যথিত করেছে। এমন সময়ে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস। জনগণের কাছে তিনি এক আশার প্রতীক। আমজনতার দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ বলেন।
কিন্তু সম্প্রতি দেওয়া মন্তব্য—যেখানে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, বরং সাময়িকভাবে কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে এবং যেকোনো সময় তা প্রত্যাহার করা সম্ভব—এতে দেশের মানুষ গভীরভাবে হতাশ হয়েছে। কারণ, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসংখ্য প্রাণ বিসর্জনের বিনিময়ে আজকের এই পরিবর্তন এসেছে। যে চেয়ারে আপনি বসেছেন, সেটি এখনো শহীদদের রক্তে ভেজা। সেই রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা মানে তাঁদের আত্মত্যাগকে উপহাস করা।
অতএব, আপনার প্রতি অনুরোধ—এই বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। আওয়ামী লীগের বিচারহীন অতীত অপরাধসমূহকে ধামাচাপা দেওয়ার মতো মন্তব্য জাতিকে হতাশ করবে। জনগণ আজ ন্যায়বিচার চায়।
প্রথমত, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের রক্তের ঋণ শোধ করতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের বিচারের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে কার্যকর করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, হেফাজতে ইসলামের হত্যাকাণ্ডে আলেম-ওলামা, ছাত্র ও সাধারণ মুসল্লিদের নৃশংস হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তৃতীয়ত, পিলখানা হত্যাযজ্ঞের প্রকৃত পরিকল্পনাকারী ও সুবিধাভোগী রাজনৈতিক নেতৃত্বের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। জনগণ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগের তৎকালীন শীর্ষ নেতৃত্ব এ ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, আপনার হাতে আজ এক বিরল সুযোগ এসেছে। যদি আপনি আওয়ামী লীগের অপরাধের বিচার নিশ্চিত করেন, শহীদ পরিবারকে ন্যায় দেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করেন—তাহলে আপনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব দরবারেও এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।
আজ প্রয়োজন শহীদ পরিবারগুলোর আর্তনাদ শোনা, অঙ্গহানি হওয়া যোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে মূল্যায়ন করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা। ভাষা আন্দোলনের ১৯৫২-এর বীর সৈনিক থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর মুক্তিযোদ্ধারা যে রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, সেই দেশকে দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্রের কাছে আর সমর্পণ করা যাবে না।
জাতির আহ্বান—বিচারহীনতার সংস্কৃতি চিরতরে শেষ হোক। আওয়ামী লীগের অপরাধসমূহের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচার হোক। তবেই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।
ইতিহাস সাক্ষী থাকবে, ড. মুহাম্মদ ইউনুস শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করেছেন এবং ন্যায়বিচারের পতাকা উড়িয়েছেন।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি খোলা চিঠি
সেলিম মাহবুব :
বাংলাদেশ আজ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। স্বাধীনতার অর্ধশতক পরও আমরা জাতি হিসেবে নতুন আশা ও নতুন শৃঙ্খলার পথে অগ্রসর হচ্ছি। কিন্তু দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, হত্যাযজ্ঞ ও একচেটিয়া দমননীতি আমাদের বারবার ব্যথিত করেছে। এমন সময়ে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস। জনগণের কাছে তিনি এক আশার প্রতীক। আমজনতার দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ বলেন।
কিন্তু সম্প্রতি দেওয়া মন্তব্য—যেখানে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, বরং সাময়িকভাবে কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে এবং যেকোনো সময় তা প্রত্যাহার করা সম্ভব—এতে দেশের মানুষ গভীরভাবে হতাশ হয়েছে। কারণ, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসংখ্য প্রাণ বিসর্জনের বিনিময়ে আজকের এই পরিবর্তন এসেছে। যে চেয়ারে আপনি বসেছেন, সেটি এখনো শহীদদের রক্তে ভেজা। সেই রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা মানে তাঁদের আত্মত্যাগকে উপহাস করা।
অতএব, আপনার প্রতি অনুরোধ—এই বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। আওয়ামী লীগের বিচারহীন অতীত অপরাধসমূহকে ধামাচাপা দেওয়ার মতো মন্তব্য জাতিকে হতাশ করবে। জনগণ আজ ন্যায়বিচার চায়।
প্রথমত, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের রক্তের ঋণ শোধ করতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের বিচারের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে কার্যকর করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, হেফাজতে ইসলামের হত্যাকাণ্ডে আলেম-ওলামা, ছাত্র ও সাধারণ মুসল্লিদের নৃশংস হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তৃতীয়ত, পিলখানা হত্যাযজ্ঞের প্রকৃত পরিকল্পনাকারী ও সুবিধাভোগী রাজনৈতিক নেতৃত্বের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। জনগণ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগের তৎকালীন শীর্ষ নেতৃত্ব এ ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, আপনার হাতে আজ এক বিরল সুযোগ এসেছে। যদি আপনি আওয়ামী লীগের অপরাধের বিচার নিশ্চিত করেন, শহীদ পরিবারকে ন্যায় দেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করেন—তাহলে আপনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব দরবারেও এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।
আজ প্রয়োজন শহীদ পরিবারগুলোর আর্তনাদ শোনা, অঙ্গহানি হওয়া যোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে মূল্যায়ন করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা। ভাষা আন্দোলনের ১৯৫২-এর বীর সৈনিক থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর মুক্তিযোদ্ধারা যে রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, সেই দেশকে দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্রের কাছে আর সমর্পণ করা যাবে না।
জাতির আহ্বান—বিচারহীনতার সংস্কৃতি চিরতরে শেষ হোক। আওয়ামী লীগের অপরাধসমূহের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচার হোক। তবেই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।
ইতিহাস সাক্ষী থাকবে, ড. মুহাম্মদ ইউনুস শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করেছেন এবং ন্যায়বিচারের পতাকা উড়িয়েছেন।