পোরশায় প্রায় রাতেই হচ্ছে ডাকাতি, প্রশাসনের নেই কোন ভূমিকা

সুকুমার ঋষি, পোরশা নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁর পোরশা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিনই। কিন্তু এসব ঘটনায় প্রশাসনের তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতের ঘটনায় উপজেলার সারাইগাছী-আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মোশানতলা মোড় থেকে বন্ধুপাড়া মোড় পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকায় তিনটি স্থানে ডাকাতদল গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি চালায়। একই রাতে ওই এলাকার বেজোড়া মোড়ে তিনজন নাইট গার্ডকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৮টি দোকানের সমস্ত মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

পরদিন বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাফিউল সারোয়ার, বিপিএম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাপাহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শ্যামলী রানীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এর আগে গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে সারাইগাছী-আড্ডা সড়কের মোশানতলা মোড়ে আরও একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সড়কে গাছ ফেলে উভয় দিকের যানবাহনের পথ রোধ করে যাত্রীদের কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসহ মালামাল লুট করে নেয় ডাকাতরা। প্রতিরোধের চেষ্টা করলে প্রায় ২০ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ডাকাতরা নিয়মিতভাবে সড়কে গাছ ফেলে পথরোধ করে যাত্রীদের জিম্মি করে লুটপাট চালাচ্ছে। রাতে বাজার ও দোকানপাটের তালা ভেঙে মালামাল লুট করা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ ডাকাত আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মোশানতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি চললেও প্রশাসনের ভূমিকা দৃশ্যমান নয়। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, “ডাকাতি হয় মোশানতলায়, আর পুলিশ থাকে দুই কিলোমিটার দূরে সারাইগাছী বাজারে। ডাকাতি শেষ হওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।”

অবিরাম এই ডাকাতির ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ও রাতের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

পোরশায় প্রায় রাতেই হচ্ছে ডাকাতি, প্রশাসনের নেই কোন ভূমিকা

অক্টোবর ১৬, ২০২৫

সুকুমার ঋষি, পোরশা নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁর পোরশা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিনই। কিন্তু এসব ঘটনায় প্রশাসনের তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতের ঘটনায় উপজেলার সারাইগাছী-আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মোশানতলা মোড় থেকে বন্ধুপাড়া মোড় পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকায় তিনটি স্থানে ডাকাতদল গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি চালায়। একই রাতে ওই এলাকার বেজোড়া মোড়ে তিনজন নাইট গার্ডকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৮টি দোকানের সমস্ত মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

পরদিন বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাফিউল সারোয়ার, বিপিএম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাপাহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শ্যামলী রানীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এর আগে গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে সারাইগাছী-আড্ডা সড়কের মোশানতলা মোড়ে আরও একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সড়কে গাছ ফেলে উভয় দিকের যানবাহনের পথ রোধ করে যাত্রীদের কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসহ মালামাল লুট করে নেয় ডাকাতরা। প্রতিরোধের চেষ্টা করলে প্রায় ২০ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ডাকাতরা নিয়মিতভাবে সড়কে গাছ ফেলে পথরোধ করে যাত্রীদের জিম্মি করে লুটপাট চালাচ্ছে। রাতে বাজার ও দোকানপাটের তালা ভেঙে মালামাল লুট করা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ ডাকাত আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মোশানতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি চললেও প্রশাসনের ভূমিকা দৃশ্যমান নয়। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, “ডাকাতি হয় মোশানতলায়, আর পুলিশ থাকে দুই কিলোমিটার দূরে সারাইগাছী বাজারে। ডাকাতি শেষ হওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।”

অবিরাম এই ডাকাতির ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ও রাতের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।