কলকাতা প্রতিনিধি: সমরেশ রায় ও শম্পা দাস
পশ্চিমবঙ্গের টালিগঞ্জে প্রিন্স রহিমুদ্দিন লেন সংলগ্ন টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাবে এবার পালিত হলো এক বিশেষ কালীপূজো—যেখানে দেবী কালীকে ফলের মালা পরিয়ে আরাধনা করা হয়। প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে বংশপরম্পরায় এই রীতিই পালন করে আসছে ক্লাবটি। এই বছর পূজো পা দিল ৫০ বছরে, আর তাই আয়োজনে ছিল বাড়তি উৎসবের ছোঁয়া।
২৪ অক্টোবর, শুক্রবার, দীপাবলির পূর্ণ লগ্নে সারা রাজ্যের মতোই এখানে দেবী কালীকে পূজো করা হয়। তবে এই পূজোকে আলাদা করে তুলেছে এর নিজস্ব ঐতিহ্য—ফলের মালা পরিয়ে মা কালীর আরাধনা। উদ্যোক্তারা জানান, পশ্চিমবঙ্গের বুকে এমন পূজোর নজির আর কোথাও নেই।

টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাবের উদ্যোক্তা সমীর কুমার সাহা বলেন,
“এই বছর আমাদের ৫০তম বর্ষ। তাই পূজোটা একটু অন্যভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অতিথি সংবর্ধনা, ছোটদের অঙ্কন ও নৃত্য প্রতিযোগিতা—সব মিলিয়ে আমরা এই বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছি।”
তিনি আরও জানান, মাকে যে ফলের মালা দেওয়া হয়, তা ভক্তদের মানতের ওপর নির্ভর করে। কখনও সেই মালার ওজন হয় ৫ কেজি, কখনও ২০ কেজিও ছাড়িয়ে যায়। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা মানত নিয়ে আসেন এবং মাকে দর্শন করেন।

এখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও সমানভাবে সহযোগিতা করেন পূজো আয়োজনে। গলির মধ্যে সীমিত জায়গায় বহু বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এই ধর্মীয় উৎসব সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এই বছর প্রতিমার শুভ সূচনা করেন জনপ্রিয় জি বাংলা ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ খ্যাত অভিনেত্রী। এছাড়াও সাংবাদিক, পুরোহিত, তবলা বাদক, পটুয়া, গায়ক, ইলেকট্রিশিয়ানসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে উত্তরীয় ও ব্যাজ পরিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
শেষ দিনে সিন্দুর খেলার মধ্য দিয়ে ভক্তরা দেবীকে বিদায় জানান অশ্রুসজল নয়নে। সবাই জানিয়েছেন,
“মা, আসছে বছর আবার আলো করে এসো, আমাদের সব ত্রুটি মার্জনা করে দিও।”
এবারের ৫০তম বর্ষে ক্লাবটি বহু সম্মান অর্জন করেছে স্থানীয় ও রাজ্য পর্যায়ে, যা আয়োজকদের আরও অনুপ্রাণিত করেছে আগামী বছর আরও বড় আয়োজনের জন্য।

টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাবের ৫০তম বর্ষে কালীপূজো: ফলের মালায় সজ্জিত মা কালী, অনন্য ঐতিহ্যের সাক্ষী কলকাতা
কলকাতা প্রতিনিধি: সমরেশ রায় ও শম্পা দাস
পশ্চিমবঙ্গের টালিগঞ্জে প্রিন্স রহিমুদ্দিন লেন সংলগ্ন টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাবে এবার পালিত হলো এক বিশেষ কালীপূজো—যেখানে দেবী কালীকে ফলের মালা পরিয়ে আরাধনা করা হয়। প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে বংশপরম্পরায় এই রীতিই পালন করে আসছে ক্লাবটি। এই বছর পূজো পা দিল ৫০ বছরে, আর তাই আয়োজনে ছিল বাড়তি উৎসবের ছোঁয়া।
২৪ অক্টোবর, শুক্রবার, দীপাবলির পূর্ণ লগ্নে সারা রাজ্যের মতোই এখানে দেবী কালীকে পূজো করা হয়। তবে এই পূজোকে আলাদা করে তুলেছে এর নিজস্ব ঐতিহ্য—ফলের মালা পরিয়ে মা কালীর আরাধনা। উদ্যোক্তারা জানান, পশ্চিমবঙ্গের বুকে এমন পূজোর নজির আর কোথাও নেই।

টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাবের উদ্যোক্তা সমীর কুমার সাহা বলেন,
“এই বছর আমাদের ৫০তম বর্ষ। তাই পূজোটা একটু অন্যভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অতিথি সংবর্ধনা, ছোটদের অঙ্কন ও নৃত্য প্রতিযোগিতা—সব মিলিয়ে আমরা এই বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছি।”
তিনি আরও জানান, মাকে যে ফলের মালা দেওয়া হয়, তা ভক্তদের মানতের ওপর নির্ভর করে। কখনও সেই মালার ওজন হয় ৫ কেজি, কখনও ২০ কেজিও ছাড়িয়ে যায়। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা মানত নিয়ে আসেন এবং মাকে দর্শন করেন।

এখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও সমানভাবে সহযোগিতা করেন পূজো আয়োজনে। গলির মধ্যে সীমিত জায়গায় বহু বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এই ধর্মীয় উৎসব সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এই বছর প্রতিমার শুভ সূচনা করেন জনপ্রিয় জি বাংলা ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ খ্যাত অভিনেত্রী। এছাড়াও সাংবাদিক, পুরোহিত, তবলা বাদক, পটুয়া, গায়ক, ইলেকট্রিশিয়ানসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে উত্তরীয় ও ব্যাজ পরিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
শেষ দিনে সিন্দুর খেলার মধ্য দিয়ে ভক্তরা দেবীকে বিদায় জানান অশ্রুসজল নয়নে। সবাই জানিয়েছেন,
“মা, আসছে বছর আবার আলো করে এসো, আমাদের সব ত্রুটি মার্জনা করে দিও।”
এবারের ৫০তম বর্ষে ক্লাবটি বহু সম্মান অর্জন করেছে স্থানীয় ও রাজ্য পর্যায়ে, যা আয়োজকদের আরও অনুপ্রাণিত করেছে আগামী বছর আরও বড় আয়োজনের জন্য।
