মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে সাবেক জাতীয় পার্টি নেতা দুলাল দাসের অন্তর্ভুক্তিকে ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে ঘুরে বেড়ানোর পর হঠাৎ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া নিয়ে সংগঠনের নিবেদিত নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে তীব্র আলোচনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুলাল দাস (৭০) ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি জাতীয় শ্রমিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে প্রায় নয় বছর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকলেও সম্প্রতি তাকে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য করা হয়েছে।
তৃণমূল বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, দুলাল দাস জাতীয় পার্টির সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের আন্দোলন-মিছিলে বাধা দিয়েছেন। স্বৈরাচার সরকারের ঘনিষ্ঠতা ব্যবহার করে তিনি ব্যক্তিগত সম্পদ গড়ে তোলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আরও জানা গেছে, একসময় আর্থিক সংকটে পড়ে বাড়িঘর বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে গেলেও পরবর্তীতে ফিরে এসে নতুনভাবে জমি ক্রয় করে বসবাস শুরু করেন দুলাল দাস। বর্তমানে তিনি ‘ভিক্টর ট্রাভেলস’ নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করছেন, যা মানবপাচার সংশ্লিষ্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত—এমন অভিযোগও রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
সংগঠনের কোনো ইউনিয়ন, উপজেলা বা ওয়ার্ড পর্যায়ের পদে না থেকেও হঠাৎ জেলা বিএনপির সদস্য হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিষয়টিকে “অদৃশ্য প্রভাবের ফল” বলে মন্তব্য করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য দুলাল দাস বলেন—
“আমি মুসলিম লীগ থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছি। কয়েক বছর ধরে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। রাজনীতি আমার ব্যক্তিগত লোভ নয়, এলাকার মানুষের অনুরোধেই করি।”
তৃণমূল বিএনপি নেতারা বলছেন, দলে বহিরাগত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কঠোর নজরদারি এখন সময়ের দাবি।
মুন্সিগঞ্জে সাবেক জাতীয় পার্টি নেতা দুলাল দাস বিএনপিতে—তৃণমূলে ক্ষোভ ও প্রশ্ন
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে সাবেক জাতীয় পার্টি নেতা দুলাল দাসের অন্তর্ভুক্তিকে ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে ঘুরে বেড়ানোর পর হঠাৎ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া নিয়ে সংগঠনের নিবেদিত নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে তীব্র আলোচনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুলাল দাস (৭০) ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি জাতীয় শ্রমিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে প্রায় নয় বছর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকলেও সম্প্রতি তাকে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য করা হয়েছে।
তৃণমূল বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, দুলাল দাস জাতীয় পার্টির সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের আন্দোলন-মিছিলে বাধা দিয়েছেন। স্বৈরাচার সরকারের ঘনিষ্ঠতা ব্যবহার করে তিনি ব্যক্তিগত সম্পদ গড়ে তোলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আরও জানা গেছে, একসময় আর্থিক সংকটে পড়ে বাড়িঘর বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে গেলেও পরবর্তীতে ফিরে এসে নতুনভাবে জমি ক্রয় করে বসবাস শুরু করেন দুলাল দাস। বর্তমানে তিনি ‘ভিক্টর ট্রাভেলস’ নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করছেন, যা মানবপাচার সংশ্লিষ্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত—এমন অভিযোগও রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
সংগঠনের কোনো ইউনিয়ন, উপজেলা বা ওয়ার্ড পর্যায়ের পদে না থেকেও হঠাৎ জেলা বিএনপির সদস্য হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিষয়টিকে “অদৃশ্য প্রভাবের ফল” বলে মন্তব্য করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য দুলাল দাস বলেন—
“আমি মুসলিম লীগ থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছি। কয়েক বছর ধরে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। রাজনীতি আমার ব্যক্তিগত লোভ নয়, এলাকার মানুষের অনুরোধেই করি।”
তৃণমূল বিএনপি নেতারা বলছেন, দলে বহিরাগত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কঠোর নজরদারি এখন সময়ের দাবি।