নিজস্ব প্রতিবেদক, সেলিম মাহবুবঃ
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় কয়েকটি প্রধান ধারার গণমাধ্যম ধারাবাহিকভাবে যেসব সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য প্রচার করছে, তা দেশের রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে। এসব মাধ্যমের উপস্থাপিত বয়ান ও ভাষ্য অনেকের কাছে পক্ষপাতমূলক মনে হওয়ায় পরিস্থিতি ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমজনতা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ। তিনি বলেন, একটি সার্বভৌম দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গণমাধ্যমের অতিরিক্ত আগ্রহ বা একতরফা ব্যাখ্যা দুই দেশের সম্পর্ককে অপ্রয়োজনীয়ভাবে স্পর্শকাতর করে তুলতে পারে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিশেষত সাম্প্রতিক একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়কে কেন্দ্র করে ভারতীয় কিছু চ্যানেল যেমন রিপাবলিক বাংলা ও Z ২৪ ঘণ্টা যে ধারাবাহিক বিশ্লেষণ প্রচার করেছে, তা বাংলাদেশের বহু মানুষের কাছে অত্যন্ত একতরফা বলে প্রতীয়মান হয়েছে। বিদেশি কোনো গণমাধ্যম যদি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান বা দলকে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সমর্থন করে এমন বার্তা ছড়ায়, তাহলে তা জনমনে ভুল বোঝাবুঝি তৈরির পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অঙ্গনে অযাচিত উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সম্পর্ক সবসময় পারস্পরিক সম্মান, আস্থা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার নীতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাই অভ্যন্তরীণ বিচারিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বা আইনগত রায়ের ওপর বিদেশি গণমাধ্যমের অতিমাত্রায় তর্কমূলক বিশ্লেষণ আন্তর্জাতিক আচরণবিধির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আন্তর্জাতিক পররাষ্ট্রনীতিতে ‘নন-ইন্টারফেয়ারেন্স’ নীতি দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃত। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ আদালতের রায় বা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বাইরের পক্ষ প্রভাব বিস্তারমূলক বক্তব্য দিলে তা জনগণের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
আরোও পড়ুন – পাটগ্রাম সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লো বিএসএফ, বিজিবির প্রতিবাদ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা সবসময়ই জনগণনির্ভর। এখানে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, গণআন্দোলন, আদালতের রায় কিংবা নীতিনির্ধারণ—সবই সংবিধানসম্মত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথচলা জনগণই নির্ধারণ করবে, বাইরের কোনো দেশ বা বিদেশি গণমাধ্যম নয়। তাই যখন কোনো বিদেশি সংবাদমাধ্যম এ দেশের নির্বাচন, রাজনৈতিক দল বা বিচারিক রায়ের বিষয়ে উদ্দেশ্যমূলক ভাষা ব্যবহার করে, তখন তা গণমাধ্যমের নৈতিক দায়িত্বের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করা হয়।
আরিফ বিল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক কয়েক দশকের আস্থা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। এই সম্পর্ককে স্থিতিশীল ও সুদৃঢ় রাখতে হলে দুই দেশের সংবাদমাধ্যমের আরও দায়িত্বশীল আচরণ প্রয়োজন। কোন বিষয় দুই দেশের জনগণের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে, কোন বক্তব্য ভুল বোঝাবুঝি বাড়াতে পারে—এসব বিবেচনায় রেখেই প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মন্তব্য করা উচিত। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভারতীয় গণমাধ্যম ভবিষ্যতে আরও ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আদালতের রায় বা সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বিদেশি বয়ান দেশের জনগণের মনোভাবকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয় উপস্থাপনে পারস্পরিক সম্মান ও সতর্কতা অত্যাবশ্যক।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অঙ্গন যখন পরিবর্তনের সময় অতিক্রম করছে, তখন দায়িত্বশীল আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে পারে। বিপরীতে, পক্ষপাতমূলক বা প্রভাব বিস্তারমূলক উপস্থাপন উভয় দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সন্দেহের জন্ম দিতে পারে। আরিফ বিল্লাহ মনে করেন, এ ধরনের অনিয়ন্ত্রিত মন্তব্য বা বিশ্লেষণ বন্ধ হলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও সহযোগিতাও বৃদ্ধি পাবে।
ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমের পক্ষপাতমূলক মন্তব্যে উদ্বেগ, দুই দেশের সম্পর্কে স্পর্শকাতরতা বাড়ার আশঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক, সেলিম মাহবুবঃ
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় কয়েকটি প্রধান ধারার গণমাধ্যম ধারাবাহিকভাবে যেসব সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য প্রচার করছে, তা দেশের রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে। এসব মাধ্যমের উপস্থাপিত বয়ান ও ভাষ্য অনেকের কাছে পক্ষপাতমূলক মনে হওয়ায় পরিস্থিতি ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমজনতা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ। তিনি বলেন, একটি সার্বভৌম দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গণমাধ্যমের অতিরিক্ত আগ্রহ বা একতরফা ব্যাখ্যা দুই দেশের সম্পর্ককে অপ্রয়োজনীয়ভাবে স্পর্শকাতর করে তুলতে পারে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিশেষত সাম্প্রতিক একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়কে কেন্দ্র করে ভারতীয় কিছু চ্যানেল যেমন রিপাবলিক বাংলা ও Z ২৪ ঘণ্টা যে ধারাবাহিক বিশ্লেষণ প্রচার করেছে, তা বাংলাদেশের বহু মানুষের কাছে অত্যন্ত একতরফা বলে প্রতীয়মান হয়েছে। বিদেশি কোনো গণমাধ্যম যদি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান বা দলকে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সমর্থন করে এমন বার্তা ছড়ায়, তাহলে তা জনমনে ভুল বোঝাবুঝি তৈরির পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অঙ্গনে অযাচিত উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সম্পর্ক সবসময় পারস্পরিক সম্মান, আস্থা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার নীতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাই অভ্যন্তরীণ বিচারিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বা আইনগত রায়ের ওপর বিদেশি গণমাধ্যমের অতিমাত্রায় তর্কমূলক বিশ্লেষণ আন্তর্জাতিক আচরণবিধির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আন্তর্জাতিক পররাষ্ট্রনীতিতে ‘নন-ইন্টারফেয়ারেন্স’ নীতি দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃত। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ আদালতের রায় বা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বাইরের পক্ষ প্রভাব বিস্তারমূলক বক্তব্য দিলে তা জনগণের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
আরোও পড়ুন – পাটগ্রাম সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লো বিএসএফ, বিজিবির প্রতিবাদ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা সবসময়ই জনগণনির্ভর। এখানে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, গণআন্দোলন, আদালতের রায় কিংবা নীতিনির্ধারণ—সবই সংবিধানসম্মত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথচলা জনগণই নির্ধারণ করবে, বাইরের কোনো দেশ বা বিদেশি গণমাধ্যম নয়। তাই যখন কোনো বিদেশি সংবাদমাধ্যম এ দেশের নির্বাচন, রাজনৈতিক দল বা বিচারিক রায়ের বিষয়ে উদ্দেশ্যমূলক ভাষা ব্যবহার করে, তখন তা গণমাধ্যমের নৈতিক দায়িত্বের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করা হয়।
আরিফ বিল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক কয়েক দশকের আস্থা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। এই সম্পর্ককে স্থিতিশীল ও সুদৃঢ় রাখতে হলে দুই দেশের সংবাদমাধ্যমের আরও দায়িত্বশীল আচরণ প্রয়োজন। কোন বিষয় দুই দেশের জনগণের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে, কোন বক্তব্য ভুল বোঝাবুঝি বাড়াতে পারে—এসব বিবেচনায় রেখেই প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মন্তব্য করা উচিত। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভারতীয় গণমাধ্যম ভবিষ্যতে আরও ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আদালতের রায় বা সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বিদেশি বয়ান দেশের জনগণের মনোভাবকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয় উপস্থাপনে পারস্পরিক সম্মান ও সতর্কতা অত্যাবশ্যক।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অঙ্গন যখন পরিবর্তনের সময় অতিক্রম করছে, তখন দায়িত্বশীল আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে পারে। বিপরীতে, পক্ষপাতমূলক বা প্রভাব বিস্তারমূলক উপস্থাপন উভয় দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সন্দেহের জন্ম দিতে পারে। আরিফ বিল্লাহ মনে করেন, এ ধরনের অনিয়ন্ত্রিত মন্তব্য বা বিশ্লেষণ বন্ধ হলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও সহযোগিতাও বৃদ্ধি পাবে।