সেলিম চৌধুরী,
জেলা প্রতিনিধি রংপুরঃ
রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া মডেল থানার ছোটরূপাই এলাকার আলেমার বাজার গ্রামে সুপারি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে এক নারী ও তাঁর ছেলে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন। আহতরা হলেন স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ লিমন মিয়ার স্ত্রী মোছাম্মদ শিখা বেগম এবং তাঁর ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল আলিফ। ঘটনাটি ঘটে ১৪ নভেম্বর সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে দুই দফায়, যেখানে হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়।
পারিবারিক বিরোধের সূত্রপাত হয় বাড়ির ভিটায় থাকা একটি শুকনো সুপারি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে। শিখা বেগমের অভিযোগ অনুযায়ী সকাল বেলা গাছ কাটার পর প্রতিপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় এক পর্যায়ে বিবাদীপক্ষ তার ছেলের গলায় কাচি ধরে ভয় দেখায় এবং পরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কিন্তু বিকেলে বিষয়টি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়ে ফিরে আসে। অভিযোগ অনুযায়ী, বিবাদী আটজন একত্রে লাঠি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রসহ বাড়ির উঠানে এসে তাদের গালিগালাজ করতে থাকে। বাড়ির বাইরে বের হলে তারা মা ও ছেলেকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
শিখা বেগম জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ও সিজার অপারেশন করানো রোগী হওয়ায় হামলায় গুরুতরভাবে আহত হন। হামলাকারীরা তাঁর পরনের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলে এবং গলায় থাকা প্রায় চার লক্ষ টাকার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। তাঁর ছেলে আল আলিফকেও মারধর করে এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনসহ কলেজের বেতন ও পোশাক তৈরির জন্য রাখা সাত হাজার একশ টাকা নিয়ে যায়। চারদিকের পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে ওঠলে প্রতিবেশীরা এসে মা–ছেলেকে উদ্ধার করেন এবং তাদের স্বামী-পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আরোও পড়ুন – ঈশ্বরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
ঘটনার পর হামলাকারীরা পালিয়ে গেলেও তারা নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে শিখা বেগম ও তাঁর পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে একই দিনে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে ঘটনাটি তদন্তাধীন এবং পরিবারটি দ্রুত বিচার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
শিখা বেগম জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষ তাঁর পরিবারকে বিভিন্ন উপায়ে হয়রানি করে আসছিল এবং সুযোগ পেলেই ক্ষতি করার চেষ্টা করছিল। সামান্য গাছ কাটার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হামলা তাদের জীবনকে আতঙ্কে ফেলেছে। তিনি আশা করেন প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সুপারি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মা–ছেলেকে পিটিয়ে জখম
সেলিম চৌধুরী,
জেলা প্রতিনিধি রংপুরঃ
রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া মডেল থানার ছোটরূপাই এলাকার আলেমার বাজার গ্রামে সুপারি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে এক নারী ও তাঁর ছেলে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন। আহতরা হলেন স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ লিমন মিয়ার স্ত্রী মোছাম্মদ শিখা বেগম এবং তাঁর ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল আলিফ। ঘটনাটি ঘটে ১৪ নভেম্বর সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে দুই দফায়, যেখানে হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়।
পারিবারিক বিরোধের সূত্রপাত হয় বাড়ির ভিটায় থাকা একটি শুকনো সুপারি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে। শিখা বেগমের অভিযোগ অনুযায়ী সকাল বেলা গাছ কাটার পর প্রতিপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় এক পর্যায়ে বিবাদীপক্ষ তার ছেলের গলায় কাচি ধরে ভয় দেখায় এবং পরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কিন্তু বিকেলে বিষয়টি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়ে ফিরে আসে। অভিযোগ অনুযায়ী, বিবাদী আটজন একত্রে লাঠি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রসহ বাড়ির উঠানে এসে তাদের গালিগালাজ করতে থাকে। বাড়ির বাইরে বের হলে তারা মা ও ছেলেকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
শিখা বেগম জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ও সিজার অপারেশন করানো রোগী হওয়ায় হামলায় গুরুতরভাবে আহত হন। হামলাকারীরা তাঁর পরনের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলে এবং গলায় থাকা প্রায় চার লক্ষ টাকার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। তাঁর ছেলে আল আলিফকেও মারধর করে এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনসহ কলেজের বেতন ও পোশাক তৈরির জন্য রাখা সাত হাজার একশ টাকা নিয়ে যায়। চারদিকের পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে ওঠলে প্রতিবেশীরা এসে মা–ছেলেকে উদ্ধার করেন এবং তাদের স্বামী-পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আরোও পড়ুন – ঈশ্বরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
ঘটনার পর হামলাকারীরা পালিয়ে গেলেও তারা নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে শিখা বেগম ও তাঁর পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে একই দিনে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে ঘটনাটি তদন্তাধীন এবং পরিবারটি দ্রুত বিচার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
শিখা বেগম জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষ তাঁর পরিবারকে বিভিন্ন উপায়ে হয়রানি করে আসছিল এবং সুযোগ পেলেই ক্ষতি করার চেষ্টা করছিল। সামান্য গাছ কাটার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হামলা তাদের জীবনকে আতঙ্কে ফেলেছে। তিনি আশা করেন প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।