নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশালঃ
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি হামলার ঘটনার পর পাল্টা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। বিষয়টি নিয়ে পরিবারটি রবিবার বিকেলে তাদের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ থেকে লাইজু বেগম লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, গত ২১ নভেম্বর জুমার নামাজের সময় স্থানীয় মসজিদের নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে তার স্বামী শহিদুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী মাসুদ হাওলাদারের কথাকাটাকাটি হয়। উপস্থিত মুসল্লিরা ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে শান্ত করেন।
কিন্তু বিকেলে পরিস্থিতি নতুন মোড় নেয়। লাইজু বেগম জানান, তার দেবর মহিবুল্লাহ বাকেরগঞ্জে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে মাসুদ হাওলাদারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এখনো তিনি চিকিৎসাধীন।
পরিবারটি পরদিন ২২ নভেম্বর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করলে প্রধান আসামি মাসুদ হাওলাদার গ্রেফতার হয়। এর পরই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, গ্রেফতারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মাসুদের স্ত্রী নাসিমা বেগম ওই রাতেই শহিদুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি পাল্টা মামলা করেন।
লাইজু বেগম সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, এই চাঁদাবাজির মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক। হামলার শিকার তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এ মামলা করা হয়েছে। প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে তিনি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান এবং মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় যে, হামলায় আহত মহিবুল্লাহর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক এবং পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হওয়ায় তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দ্রুত আইনগত সহায়তা এবং ঘটনার ন্যায়বিচার প্রাপ্তিই এখন তাদের একমাত্র প্রত্যাশা।
বাকেরগঞ্জে মিথ্যা মামলার অভিযোগে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশালঃ
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি হামলার ঘটনার পর পাল্টা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। বিষয়টি নিয়ে পরিবারটি রবিবার বিকেলে তাদের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ থেকে লাইজু বেগম লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, গত ২১ নভেম্বর জুমার নামাজের সময় স্থানীয় মসজিদের নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে তার স্বামী শহিদুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী মাসুদ হাওলাদারের কথাকাটাকাটি হয়। উপস্থিত মুসল্লিরা ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে শান্ত করেন।
কিন্তু বিকেলে পরিস্থিতি নতুন মোড় নেয়। লাইজু বেগম জানান, তার দেবর মহিবুল্লাহ বাকেরগঞ্জে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে মাসুদ হাওলাদারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এখনো তিনি চিকিৎসাধীন।
পরিবারটি পরদিন ২২ নভেম্বর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করলে প্রধান আসামি মাসুদ হাওলাদার গ্রেফতার হয়। এর পরই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, গ্রেফতারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মাসুদের স্ত্রী নাসিমা বেগম ওই রাতেই শহিদুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি পাল্টা মামলা করেন।
লাইজু বেগম সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, এই চাঁদাবাজির মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক। হামলার শিকার তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এ মামলা করা হয়েছে। প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে তিনি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান এবং মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় যে, হামলায় আহত মহিবুল্লাহর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক এবং পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হওয়ায় তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দ্রুত আইনগত সহায়তা এবং ঘটনার ন্যায়বিচার প্রাপ্তিই এখন তাদের একমাত্র প্রত্যাশা।