মোঃ মিনহাজুল ইসলাম সুজন
বরিশালের প্রথম শ্রেণীর বাকেরগঞ্জ পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক বর্তমানে অন্ধকারে নিমজ্জিত। সড়ক বাতি থাকলেও বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। আবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এখনও লাইট স্থাপন করা হয়নি। ফলে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এবং চুরি-ছিনতাইসহ নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, বিশেষ করে ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম রুনসী রোডসহ বিভিন্ন মোড়ে পৌরসভার আলো নেই। পৌরসভার নির্ধারিত ট্যাক্স, পানি বিল, খাজনা পরিশোধের পরও নাগরিকরা এই সেবা থেকে বঞ্চিত। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জমা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ ফিরোজ হাওলাদার বলেন, ‘রাতে লাইট না থাকায় আমরা নিরাপদে চলাচল করতে পারি না।’ অন্যরা অভিযোগ করেন, ‘অন্ধকারের সুযোগে কিশোর গ্যাং, মাদকসেবীদের আড্ডা, চুরি ও ছিনতাই বেড়ে যাচ্ছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসীম উদ্দীন জানান, বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় মোট ৩১০টি স্ট্রিট লাইট আছে, যার মধ্যে সচল ২৬০টি, অচল ৫০টি। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলোচনা করেছি। বর্তমানে বাজেট সংকট রয়েছে। বাজেট পাওয়া গেলে নতুন লাইট বসানো ও নষ্ট লাইট দ্রুত মেরামত করা হবে। যেসব সড়কে লাইট নেই, ধাপে ধাপে সেখানে স্থাপন করা হবে।’
তিনি আরও জানান, ‘পুরো পৌরসভা আলোকিত করতে ২,৭০০–৩,০০০ লাইটের দরকার, অথচ সচল আছে মাত্র ২৬০টি। পর্যাপ্ত বাজেট ছাড়া পূর্ণ সমাধান সম্ভব নয়।’
পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছি। একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় এমন দুর্বল আলোর ব্যবস্থা দুঃখজনক। খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এই অচল সড়ক বাতি মেরামতের দাবি এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। স্থানীয়রা দ্রুত পদক্ষেপ আশা করছেন।
প্রথম শ্রেণীর বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় অন্ধকার: নষ্ট সড়ক বাতিতে বেড়েছে চুরি ও ছিনতাই
মোঃ মিনহাজুল ইসলাম সুজন
বরিশালের প্রথম শ্রেণীর বাকেরগঞ্জ পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক বর্তমানে অন্ধকারে নিমজ্জিত। সড়ক বাতি থাকলেও বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। আবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এখনও লাইট স্থাপন করা হয়নি। ফলে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এবং চুরি-ছিনতাইসহ নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, বিশেষ করে ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম রুনসী রোডসহ বিভিন্ন মোড়ে পৌরসভার আলো নেই। পৌরসভার নির্ধারিত ট্যাক্স, পানি বিল, খাজনা পরিশোধের পরও নাগরিকরা এই সেবা থেকে বঞ্চিত। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জমা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ ফিরোজ হাওলাদার বলেন, ‘রাতে লাইট না থাকায় আমরা নিরাপদে চলাচল করতে পারি না।’ অন্যরা অভিযোগ করেন, ‘অন্ধকারের সুযোগে কিশোর গ্যাং, মাদকসেবীদের আড্ডা, চুরি ও ছিনতাই বেড়ে যাচ্ছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসীম উদ্দীন জানান, বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় মোট ৩১০টি স্ট্রিট লাইট আছে, যার মধ্যে সচল ২৬০টি, অচল ৫০টি। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলোচনা করেছি। বর্তমানে বাজেট সংকট রয়েছে। বাজেট পাওয়া গেলে নতুন লাইট বসানো ও নষ্ট লাইট দ্রুত মেরামত করা হবে। যেসব সড়কে লাইট নেই, ধাপে ধাপে সেখানে স্থাপন করা হবে।’
তিনি আরও জানান, ‘পুরো পৌরসভা আলোকিত করতে ২,৭০০–৩,০০০ লাইটের দরকার, অথচ সচল আছে মাত্র ২৬০টি। পর্যাপ্ত বাজেট ছাড়া পূর্ণ সমাধান সম্ভব নয়।’
পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছি। একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় এমন দুর্বল আলোর ব্যবস্থা দুঃখজনক। খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এই অচল সড়ক বাতি মেরামতের দাবি এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। স্থানীয়রা দ্রুত পদক্ষেপ আশা করছেন।